রাজ্যে বনধ ব্যর্থ করতে তত্পর সরকার, সোমবার চলবে অতিরিক্ত বাস

বিরোধীদের বনধ ব্যর্থ করতে পুরনো পথেই হাঁটছে তৃণমূল সরকার। এবারও মানুষকে পথে নামতে উত্সাহিত করতে অতিরিক্ত বাস চালানোর কথা ঘোষণা করল পরিবহণ দফতর। পথে গাড়ি ভাঙচুর করলে বা দোকান খুলতে বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা হুঁশিয়ার দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সরকারি কর্মীরা অফিসে না-গেলে বেতন কাটা যাবে বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ইতিমধ্যে ছুটি বাতিল হয়েছে সমস্ত সরকারি পরিবহণকর্মীর।

কেন্দ্রের নীতির প্রতিবাদে সোমবার কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধে সামিল হয়েছে বামেরাও। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বনধের ডাক দিয়েছে তারা। সরকার বনধ ব্যর্থ করার চেষ্টা করলে পথে মোকাবিলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বনধের ইস্যুকে সমর্থন করলেও বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধে সামিল হয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। উলটে বনধ ব্যর্থ করতে তত্পর হয়েছে সরকার।

নবান্ন সূত্রের খবর, সোমবার জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত সরকারি বাস পথে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত ৪০০ সরকারি বাস পথে নামাবে ডাবলুবিটিসি। চলবে অতিরিক্ত ট্রামও। সেজন্য সোমবার সমস্ত সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চলবে অতিরিক্ত দূরপাল্লার বাসও।

ওদিকে সোমবার অফিসে না-এলে বেতন কাটা যাবে বলে হুলিয়া জারি করেছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, সমস্ত সরকারি দফতরে ১০০ শতাংশ হাজিরা থাকা বাধ্যতামূলক।  বনধের সমর্থনে পিকেটিং রোধেও নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য। জানানো হয়েছে, দোকান খুলতে বাধা দিলে বা গাড়ি ভাঙচুর করলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বনধে সাধারণ মানুষকে গাড়ি নিয়ে পথে বেরোতে বিমারও ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। পথে বেরিয়ে গাড়ি ভাঙচুর হলে মিলবে ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন গাড়ির মালিক। তবে সেক্ষেত্রে ডায়েরি করতে হবে ১২ ঘণ্টার মধ্যে।  সব মিলিয়ে অন্যান্য বারের মতো এবারও বিরোধীরে বনধ ব্যর্থ চেষ্টার কসুর করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে দাওয়াই কাজ না করলেও এবার কি করবে? বলবে সোমবারের সকাল।