মাইনে, পেনশন নেন না! তাও বছরে ১২ লক্ষ টাকা আয় মুখ্যমন্ত্রী মমতার, নিজেই মুখেই জানালেন সেকথা


দীর্ঘ তিন দশকের কাছাকাছি সাংসদ হিসাবে কাজ করেছেন। তারপরে গত সাত বছর ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। রাজনীতিতে প্রবীণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হিসাবে পেনশন তো নেনই না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও ভাতা নেন না। তবুও বছরে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। কীভাবে সম্ভব হয়েছে, নিজের মুখেই জানালেন সেকথা।

এদিন এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানালেন তাঁর আয়ের উৎস। প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে মাস গেলে ৭০ হাজার টাকা পেনশন পাওয়ার যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যবে থেকে সাংসদ পদ ছেড়েছেন তবে থেকে আজ পর্যন্ত এক টাকাও তিনি পেনশন নেননি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যের কাছ থেকে কোনও অর্থ তিনি নেন না। এখনও এক টাকাও তিনি গ্রহণ করেননি।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নবান্ন বা যে কোনও অনুষ্ঠানে যে তিনি যাতায়াত করেন, সেটাও নিজের পয়সায়, নিজের গাড়ির তেল পুড়িয়ে। প্রশাসনিক কাজে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রী যে যান, সেখানেও সার্কিট হাউসে থাকাও তাঁর ব্যক্তিগত খরচে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর আয়ের উৎস কী? এই রহস্যের জট কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এতদিনে যে কটি বই লিখেছেন, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু সবমিলিয়ে তার মধ্যে বেশ কিছু বই বেস্ট সেলার হয়েছে। মোট ৮১টি বইয়ের মধ্যে অনেকগুলি রাজ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বইমেলা তো বটেই আন্তর্জাতির বই মেলাতেও স্বীকৃতি পেয়েছে। তার বিক্রিও হয় অনেক।

যা বাবদ প্রকাশকদের কাছ থেকে তিনি রয়্যালটি বাবদ ১০-১২ লক্ষ টাকা বছরে রোজগার করেন। এছাড়া গান লিখে ও সুর করে তৈরি করা হওয়া অ্যালবামের বিক্রি থেকেও তিনি রয়্যালটি পান। সবমিলিয়ে তার রোজগার মাসে লক্ষাধিক টাকা হয়। তা দিয়েই নিজের জীবন নির্বাহ করেন বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।