বিহার থেকে জাল নোট শহরে, ধৃত দুই কারবারি


এত দিন জাল নোট মূলত আসছিল সীমানা পেরিয়ে। রবিবার বারুইপুর স্টেশন থেকে লক্ষাধিক টাকার জাল নোট উদ্ধারের পরে পুলিশ দাবি করল, সেগুলি পাচার করা হচ্ছে বিহার থেকে! এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সঞ্জীব সিংহ ও হিমাংশু সিংহ নামে দুই অভিযুক্ত। তাদের বাড়ি বিহারের সারণ জেলায়। ২০০০, ৫০০, ১০০ ও ৫০ টাকার জাল নোটে উদ্ধার হয়েছে ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।

বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন্‌স গ্রুপের তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সারণ জেলার একটি কারখানায় এই জাল নোট ছাপানো হয়েছিল। তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায়। এক অফিসার জানান, ৫০০, 

১০০ ও ৫০ টাকার জাল নোট হুবহু আসলের মতো দেখতে। বারুইপুরের জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ''ধৃতেরা কার কাছে ওই নোট পাচার করছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।''

তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, সঞ্জীব ও হিমাংশু আদতে অস্ত্র কারবারি। মাসখানেক আগে বিহারের দুই অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করার পরে তাদের নাম জানা যায়। তার পরেই ওই দু'জনের ফোনে আড়ি পাতে পুলিশ। সেই ফোন মারফত পুলিশের কাছে খবর ছিল, রবিবার বারুইপুর স্টেশন থেকে ওই জাল নোট পাচার করা হবে। সেই মতো এলাকা ঘিরে ফেলেন স্পেশ্যাল অপারেশন্‌স গ্রুপের অফিসারেরা। এক অফিসারের কথায়, ''হিন্দিতে কথা বলছে, এমন লোক খুঁজছিলাম আমরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ দু'জন লোককে হিন্দিতে কথা বলতে শোনা যায়। তার পরেই ওই দু'জনের পিছু নেওয়া হয়।'' পুলিশ জানিয়েছে, টাকার ব্যাগ এক জনকে দেওয়ার সময়ে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় সঞ্জীব ও হিমাংশুকে। তাদের সঙ্গে ছিল তৃতীয় এক ব্যক্তি। সে ট্রেনে উঠে পালিয়ে যায়।

বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্ত কলকাতায় আসার আগে মালদহে এই জাল নোট পাচার করেছিল। সেখান থেকে ফিরে ঘাঁটি গেড়েছিল শিয়ালদহের একটি হোটেলে। প্রায় তিন বছর ধরে কলকাতা-সহ আশপাশের জেলায় ধৃতেরা অস্ত্র ও জাল নোট পাচার করছে বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।