স্বপ্নার বায়োপিক বানাতে চান সৃজিত মুখোপাধ্যায়


প্রদীপের নিচে থেকেই গড়েছেন ইতিহাস। জলপাইগুড়ির অচেনা গলির অপরিচিত মুখটি রাতারাতি এসেছিল লাইমলাইটে। এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলনে সোনা জিতে দেশের-দশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। সেই স্বপ্না বর্মনকে নিয়ে এবার বায়োপিক তৈরির কথা ভাবছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

গত কয়েক বছরে বলিউডে বায়োপিকের হিড়িক পড়েছে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে হকির কিংবদন্তি মিলখা সিং, সকলের জীবনের নানা অজানা কাহিনি ফুটে উঠেছে বড়পর্দায়। সাফল্যের সিঁড়ি চড়তে কীভাবে প্রতিপদে জয় করতে হয়েছে প্রতিকূলতাকে, তা অনুপ্রেরণা দিয়েছে আগামী প্রজন্মকে। মেরি কম থেকে গীতা-ববিতা ফোগাটের জীবনযুদ্ধের কাহিনি মন ছুঁয়েছে দর্শকদের। এসব ছবি বক্সঅফিসেও সুপারহিট। এবার সে পথেই হাঁটতে চলেছেন বাঙালি পরিচালক।

সত্যি ঘটনাকে নিজের শৈল্পিক ছোঁয়ায় রুপোলি পর্দায় তুলে ধরতে বরাবরই ভালবাসেন সৃজিত। ব্লকবাস্টার ছবি উমা হোক কিংবা আপকামিং ছবি এক যে ছিল রাজা, প্রতি ক্ষেত্রেই বাস্তবের ছোঁয়া থাকে সৃজিতের সিনেমায়। আর বাংলার এই সফল পরিচালকই এবার স্বপ্নাকে নিয়ে ছবি তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই নাকি সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে ফোনও করে ফেলেছেন। জানান, স্বপ্নার জীবনের চড়াই-উতরাই আম জনতার কাছে পৌঁছে দিতে চান তিনি। কী বললেন স্বপ্না? পরিচালককে নাকি হাসি মুখেই সম্মতি জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির স্টার। নিজের চরিত্রে কাকে দেখতে চান পর্দায়? স্বপ্না অবশ্য কোনও একটি নাম বলেননি। শুধু জানিয়েছেন, বাংলার বিখ্যাত জুটি উত্তর-সুচিত্রার ছবি দেখতেই ভালবাসতেন। বর্তমানে সেভাবে কারও ভক্ত নন। তাই অভিনেত্রী বাছাইয়ের ভার পরিচালকের উপরই ছাড়ছেন তিনি। তবে সুযোগ পেলে তিনি নিজেও অভিনয় করতে আগ্রহী বলে জানান স্বপ্না।

তবে বায়োপিক তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা একটাই। কোচ সুভাষ সরকার এ বিষয়ে এখনও সবুজ সংকেত দেননি। তিনি চান না অলিম্পিকের আগে কোনওভাবে ফোকাস নষ্ট হোক তাঁর ছাত্রীর। তাই গুরুর অনুমতির অপেক্ষায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি সম্মতি দিলেই বায়োপিক নিয়ে কাজ শুরু হবে টলিপাড়ায়।