বাড়িতে কাজ করে ১৬ ঘণ্টায় ৫৪ লক্ষ!


ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিংবা বড় ব্যবসায়ী নন। লোকের বাড়িতে ঘর পরিষ্কারের কাজ করেন এই মহিলা। তাও আবার সপ্তাহে মোটে ১৬ ঘণ্টা। আর তাতে বছরে কত আয় করে জানেন? প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা। বিস্ময়ে হাঁ হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এক ফোঁটাও বানানো গল্প নয়। খাঁটি সত্যি। ভাবছেন তো, কীভাবে এমনটা সম্ভব? আসলে কাজের দিক থেকে বাকি পাঁচজনের মতো হলেও নিজেকে মেলে ধরার দিক থেকে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।

অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টের ২৮ বছরের এই সিঙ্গল মাদারকে সংসার চালাতে উপার্জন করতে হয়। স্নাতক পাশ করা যুবতী আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বাড়ির কাজকেই। বাসন মাজা, ঘর মোছা, রান্নাঘর পরিষ্কার করার মতো কাজগুলিই করেন তিনি। প্রথমে খুব বেশি অর্থের মুখ দেখতে পাননি। ভাবেন, কীভাবে এক ঝটকায় নিজের কাজের মূল্য অনেকখানি বাড়িয়ে নেওয়া যায়। তখনই মাথায় খেলে যায় একটি উপায়। ঠিক করেন, একই কাজ করবেন, তবে একটু অন্যরকমভাবে। কাজের সময় গায়ে রাখবেন না কোনও পোশাক। ব্যস, শরীর প্রদর্শন করতেই একলাফে দ্বিগুণ হয়ে যায় তাঁর বেতন।

কুইন্সল্যান্ডের কোম্পানি বেয়ার অল ক্লিনিং সার্ভিসের হয়ে কাজ করেন তিনি। কোম্পানিও তাঁর কাজে বেশ সন্তুষ্ট। তবে স্থানীয় কাউন্সিলার এধরনের পেশার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। বিষয়টিকে অশালীন বলেই ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। যদিও তাতে কান দিতে নারাজ সুন্দরী ক্লিনার। তাঁর কথায়, "আমি সুন্দর শরীর রয়েছে। তা প্রদর্শন না করার কী হয়েছে। নগ্ন হয়ে কাজ করতে আমার ভালই লাগে।" কিন্তু এভাবে কাজ করতে সমস্যা হয় না? যুবতী জানাচ্ছেন, তাঁকে যিনি কাজে রাখতে চান, তাঁকে বেশ কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়। তাই যৌন হেনস্তার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি কখনও। তাঁর শরীরী মায়ায় মোটা অঙ্কের লাভের মুখ দেখেছে ক্লিনিং পরিষেবা সংস্থাটিও। তাই তাঁর কাজের সময় কমিয়ে দিয়ে বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলার বক্তব্য, "যদি অন্যান্য মহিলারাও এ কাজে স্বচ্ছন্দ্য হন, তাহলে উপার্জনের জন্য এমন রাস্তায় হাঁটতেই পারেন। কারণ আমায় দেখে শুধুই চোখের খিদে মেটে। যৌনতা নিয়ে আমি ব্যবসা করি না।"