ফেসবুকে ঘৃণা! প্রতি ৪ জনে ১ জন করে ডিলিট করে দিচ্ছেন মার্ক জুকারবার্গের সোশ্যাল মিডিয়া


ফেসবুকের বাড়বাড়ন্তে বিতর্কের শেষ নেই। মার্ক জুকারবার্গের এই বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়াকে ধিক্কার জানানো লোকের অভাব নেই। তার উপরে ফেসবুকের থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমনকী ফেক নিউজ ও ফেক প্রোফাইল নিয়ে জর্জরিত ফেসবুক।

এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে দাবি করা হয়েছে প্রতি ৪ জনে অন্তত ১ জন তাঁদের মোবাইল থেকে ফেসবুকের অ্যাপ ডিলিট করে দিচ্ছেন। এতেও শেষ নয় পিউ রিসার্চের করা সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে আরও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সবচেয়ে বড় কথা পিউ রিসার্চের এই সমীক্ষা এমন সময় সামনে এসেছে যখন ফেসবুকে-র আধিকারিককে হাজিরা দিতে হয়েছে মার্কিন সেনেটের প্যানেলের সামনে। ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ-কে বুধবার সেনেটের প্যানেলের সামনে হাজিরা দিয়ে বলতে হয়েছে যে কীভাবে তাঁরা তথ্যচুরি বা তথ্য প্রভাবিত করার বিষয়টিকে মোকাবিলা করছেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেসবুকের মাধ্যমে বাইরের দেশ থেকে যেভাবে তথ্য প্রভাবিত করা হয়েছে তা আর যে ঘটবে না তার নিশ্চিয়তা দিতে হয়েছে শেরিল স্যান্ডবার্গকে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার যে সমীক্ষাকে সামনে এনেছে তাতে বলা হয়েছে, আমেরিকায় ৭৪ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ফেসবুকের প্রাইিভেসি সেটিংস-কে বদল করেছেন অথবা অ্যাপ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন অথবা অ্যাপ-ই ডিলিট করে দিয়েছেন।

এই সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে যে ৫৪ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক ইউজার প্রাইভেসি সেটিংস-এ নিজেদের আনঅ্যাভেইলেবল করে দিয়েছেন। অনেকে আবার বহু সপ্তাহ ধরে ফেসবুক অ্যাপকে নিস্ক্রিয় করে রেখেছেন। এবং এই প্রবণতা ফেসবুকের ইয়াং ইউজারদের মধ্যেও ক্রমশ বাড়ছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে. ১৮-২৯ বছরের মধ্যে ৬৪ শতাংশ ছেলে-মেয়ে গত এক বছরে তাঁদের গোপনীয়তা রক্ষায় প্রাইভেসি সেটিংসকে আরও কঠিন করেছেন। সেখানে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ফেসবুক ইউজারদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ মানুষ এই প্রাইভেসি সেটিংস-কে জোরদার করেছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক জানিয়েছে, 'প্রাইভেসি কন্ট্রোল অ্যাপ-এর মাধ্যমে ইউজাররা প্রতিদিন তাঁদের তথ্যকে নিয়ন্ত্রণ করছে। গত একমাসে আমাদের নীতিতে আরও স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। আমাদের প্রাইভেসি সেটিংস মানুষকে খুব সহজেই ডাউনলোড ও তথ্য ডিলিট করার সুবিধা করে দিয়েছে।' এমনকী কীভাবে ব্য়ক্তিগত তথ্যকে রক্ষা করতে হবে তার জন্য মানুষকে শিক্ষিত করতে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।