হায়দরাবাদের মিউজিয়াম থেকে উধাও নিজামের টিফিন বক্স


ঠিক যেন বলিউড বা হলিউডের কোনও বিখ্যাত দৃশ্যপট। চারিদিকে মহামূল্যবান স্বর্ণখচিত প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী। কোনওটি সোনার তৈরি, তো কোনওটি রুপো বা হীরের। আর এসবই রাখা আছে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। কিন্তু তাতে কী করে সব নিরাপত্তারক্ষীদে্র চোখে ধুলো দিয়ে, সিসিটিভি ক্যামেরার নজর এড়িয়ে চোর ঢুকল। ২ কেজি ওজনের সোনার টিফিন বাটি, একটি বাটি, একটি কাপ এবং একটি সোনার চামচ নিয়ে চম্পট দিল। অথচ, নিরাপত্তারক্ষীরা টেরটিও পেলেন না। হায়দরাবাদের নিজাম প্যালেসের এই ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।

মূল ঘটনা গত রবিবার মধ্যরাতের। নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে এই তিনটি মহামূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা। চুরি যাওয়া সামগ্রীর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ২ কেজি ওজনের যে টিফিন মুক্তোখচিত বাটিটি চুরি গিয়েছে তাঁর মূল্যই ৪৫ কোটিরও বেশি। গতকাল বিকেলে হায়দরাবাদের মীর চক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হায়দরাবাদের শেষ নিজাম মীর ওসমান আলি খান, এই মূল্যবান সামগ্রীগুলি ব্যবহার করতেন।

কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে ঢুকলো চোর? তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় রেকি করে চুরি করতে ঢুকেছে চোর। প্রথমে মিউজিয়াম ঘুরে রীতিমতো পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কোথায় কোথায় সিসিটিভি আছে তাও খতিয়ে দেখা হয়। তাঁরপর মিউজিয়ামের ছাদ থেকে নেমে দেওয়ালে থাকা কাঠের ভেন্টিলেটরের ফাঁক দিয়ে মিউজিয়ামের ভিতরে প্রবেশ। এরপর দড়ি বেয়ে প্রায় ২০ ফুট নিচে নামে ছিনতাইকারীরা। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল ওই জায়গার সিসিটিভিও।চুরি করার পর একই পথে পলায়নও করে তারা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে দশটি বিশেষ দল তৈরি করে ফেলেছে পুলিশ। তৈরি করা হয়েছে ডগ স্কোয়াডও। কিন্তু তাতেও এখনও কোনও সন্দেহভাজনের হদিশ মেলেনি।

Highlights
২ কেজি ওজনের সোনার টিফিন বাটি, একটি বাটি, একটি কাপ এবং একটি সোনার চামচ নিয়ে চম্পট চোর।

হায়দরাবাদের নিজাম প্যালেসের এই ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।

রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় রেকি করে চুরি করতে ঢুকেছে চোর।