সম্পত্তি লিখে দিতে না চাওয়ায় শ্বশুর, শাশুড়িকে মারধর বউমার


মালদহ: সম্পত্তি লিখে দিতে হবে বউমার নামে৷ সেই দাবিতে শ্বশুর ও শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ উঠল ছেলের বউ ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে৷ মালদহ শহরের দেশবন্ধু পাড়া এলাকার ঘটনা৷ বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এই দম্পতি৷ ইতিমধ্যেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ অভিযুক্তরা পলাতক৷

আক্রান্ত শ্বশুর সন্তোষ সরকার ও শাশুড়ি সান্ত্বনা সরকারকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে মালদহের সাহাপুরের বাসিন্দা সোনালী চৌধুরির সঙ্গে বিয়ে হয় সন্তোষ সরকারের ছেলে যীশুর৷

অভিযোগ, ছেলের বউ শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে সংসার করতে চান না৷ গত পাঁচ বছর ধরে শ্বশুর, শাশুড়িকে অত্যাচার করে চলেছে৷ দিনকে দিন সে অত্যাচার সীমা ছাড়াচ্ছে৷ এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন সোনালী৷ এই ঘটনায় সোনালীর মা, ভাই-সহ বেশ কয়েকজন বাইরের ছেলেও যুক্ত বলে অভিযোগ করেন সান্ত্বনাদেবীর সম্পর্কে বোনঝি৷

তিনি বলেন, ওই দম্পতিকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়৷ এরপর ঘরে যা টাকা-পয়সা, সোনাদানা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে যায় সোনালী সরকার, তাঁর ভাই পঙ্কজ ও মা৷ সম্পত্তির লোভেই এই কাণ্ড বলে অভিযোগ তাঁদের৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সোনালী সন্তোষবাবুকে চাপ দিতে থাকে সমস্ত সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য৷

তাতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই তাঁদের সঙ্গে বউমার ঝামেলা লেগে থাকত৷ অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সোনালী ও তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজন দলবল নিয়ে সন্তোষবাবুর উপরে চড়াও হয়৷ তাঁকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনাদেবী৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷