টাইফুন ‘জেবি’-র ধ্বংসলীলা জাপানে!


বিধ্বংসী সামুদ্রিক ঝড় 'জেবি'-র ধ্বংসলীলায় বিপর্যস্ত পশ্চিম জাপান। এখনও পর্যন্ত দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্তত বারো লক্ষ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। বিপর্যস্ত সড়ক ও রেল পরিবহণ ব্যবস্থাও। সামুদ্রিক ঝড় চলে গেলেও ঝড় পরবর্তী ভারী বৃষ্টি, ধস, বন্যা আর মারাত্মক গরম সামলাতে এখন নাজেহাল প্রশাসন। আগাম সতর্কতা হিসেবে ন'টি শহর খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সব থেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সমুদ্রের মধ্যে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে বানানো হয়েছিল এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরটি। একটি সেতুর মাধ্যমে এই বিমানবন্দরটি দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। টাইফুনের দাপটে একটি ট্যাঙ্কার ধাক্কা মারে এই সেতুটিতে। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সারা দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী, যাদের অধিকাংশই পর্যটক। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে জাপান নৌসেনা। দ্রুতগামী বোট বা নৌকার মাধ্যমে বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারকার্য শুরু করে তারা।

পশ্চিম জাপানের ওসাকাতে বেশ কয়েকটি বড় তৈল শোধনাগার আছে। ঝড়ের দাপটে অগ্নিকাণ্ড হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শোধনাগারগুলি।
দেখুন ভিডিয়ো

কানসাই বিমানবন্দর কবে খুলবে, তার কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেনি প্রশাসন। তোশিবা-সহ জাপানের পৃথিবী বিখ্যাত চিপ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কারখানাএই অঞ্চলেই। তাই বিমানবন্দর না খুললে ক্ষতিগ্রস্ত হবেদেশের বাণিজ্য।পরিস্থিতি সামাল দিতে বড় জাহাজে করে পণ্য পরিবহণের ভাবনা চিন্তা করছে তোশিবা। কিন্তু, সমুদ্রের পরিস্থিতিও অনুকূল নয়, উদ্বেগ সে কারণেই।

'জেবি' শব্দটির উৎপত্তি কোরিয়ায়। কোরিয়ান ভাষায় এই শব্দের অর্থ'গ্রাস'। আক্ষরিক অর্থেই এখন জেবির গ্রাসে পুরো পশ্চিম জাপান। যার দাপট চলবে আরও বেশ কিছু দিন, এমনটাই অনুমান আবহবিদদের।