‘পূর্বজন্মের স্ত্রী’কে অপহরণ করতে গিয়ে ধৃত শিক্ষিকা


ইন্দোর : মেয়েটি নাকি তাঁর খুব চেনা৷ কিন্তু কোথায় দেখেছেন মনে করতে পারছেন না৷ তারপর হঠাৎ নাকি তাঁর মনে পড়ে এই মেয়েটি তাঁর 'পূর্বজন্মের স্ত্রী'! কী ভাবছেন? এমনও ঘটে? আজ্ঞে হ্যাঁ৷ এমনই ঘটেছে৷

ঘটনার সূত্রপাত ইন্দোরে৷ একজন বিবাহিতা গৃহশিক্ষিকা এই ধারণার বশবর্তী হয়েই অপহরণ করতে গিয়েছিলেন তাঁরই এক ছাত্রীকে৷ ধরা পড়ার পর পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছেন তিনি, তাতে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

ওই অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন ২১ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওই ছাত্রী তাঁর পূর্ব জন্মের স্ত্রী৷ তাই তাঁকে অপরহণ করতে চেয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা! ওই ছাত্রী ইন্দোরের বাসিন্দা৷ রবিবার এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হতভম্ব পুলিশও৷

৩৫ বছরের ভেরোনিকা বোরোদে ওরফে কিরণকে শনিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে ইন্দোর পুলিশ৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে মুম্বই পুলিশের কনস্টেবল আনন্দ মুধেকেও৷ তিলক নগর থানার ওসি স্বরাজ দাবি জানান, শনিবার পিপলিয়া হানা এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে হানা দেয় বোরোদে ও মুধে৷ বোরোদে নাকি বারবার ওই ছাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল, যে সে তাঁর পূর্ব জন্মের স্ত্রী৷ কিন্তু ছাত্রীটি মানতে না চাওয়ায় তাঁকে জোর করে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চায়

ছাত্রীর চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা৷ তারাই ওই দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়৷ গোটা ঘটনা জানানো হয় মুম্বই পুলিশকে৷ তবে এই পূর্বজন্মের স্ত্রীর তত্ত্বের পিছনে ঠিক কোন কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ রবিবার স্থানীয় আদালতে পেশ করা হয় বোরোদে ও মুধেকে৷ ১১ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি আইনজীবী আক্রম শেখ জানান৷

নিজের দায়ের করা এফআইআরে ছাত্রীটি জানায়, গত বছর মুম্বইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে নিজের মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ তখনই বোরোদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়৷ নিজেরা ফোন নম্বর আদান প্রদানও করেন৷ একদিন নাকি বোরোদে ফোন করে ছাত্রীটিকে বলে তাঁর পূর্বজন্মের স্বামী স্ত্রী! তাদের আবার একসাথে থাকা উচিত৷ তখন এই কথার জবাবে ছাত্রীটি সরাসরি বোরোদেকে প্রত্যাখ্যান করে৷

প্রত্যাখ্যাত হয়ে ১৫টি বিভিন্ন নম্বর থেকে ওই ছাত্রীকে ফোন করত বোরোদে৷ এমনকী ছাত্রীর কলেজেও পৌঁছে যায় সে৷ তবে ছাত্রীর দেখা পায়নি৷ বোরোদে ও মুধের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫২ ও ৩৬৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷