আরটিআই করতেও দিতে হচ্ছে জিএসটি

তথ্য জানার অধিকার। দুর্নীতি কমাতে আইনটি চালু করেছিল পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকার। তারপর থেকেই কার্যত যুগান্তকারী ভূমিকায় আরটিআই। সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও সংস্থার যে কোনও প্রকল্প বা দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য নিখরচায় পাওয়া যায়। কোনওরকম কোনও কর দিতে হয় না আরটিআইয়ের জন্য। কিন্তু এবার সেই নিয়ম না মেনে আরটিআইয়ের জন্য জিএসটি দাবি করে বসল মধ্যপ্রদেশ সরকারের গৃহ এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন দপ্তর।

ব্যাপারটা কী? একটু খোলসা করে বলা যাক। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে একটি দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের কর্মী অজয় দুবে। ওই দপ্তরের তৈরি করা রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথোরিটির একটি অফিস তৈরিতে ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছিল তা জানতে চেয়েই আরটিআই করেন ওই দুর্নীতি-বিরোধী কর্মী। আরটিআই বোর্ডের কাছে তথ্য জানতে চাওয়ার পর বোর্ডের তরফে তাঁর কাছে মোট ৪৩ টাকা দাবি করা হয়। বলা হয়, ৪৩ টাকার মধ্যে তথ্য সম্বলিত কাগজগুলির জেরক্স কপির জন্য ৩৬ টাকা এবং বাকি ৭ টাকা জিএসটি হিসেবে চাওয়া হয়েছে। এই ৭ টাকার মধ্য ৩ টাকা ৫০ পয়সা সিজিএসটি অর্থাৎ কেন্দ্রের প্রাপ্য জিএসটি। বাকি সাড়ে তিন টাকা এসজিএসটি অর্থাৎ রাজ্যের প্রাপ্য করা। জিএসটির এই দাবিতে রীতিমতো চমকে যান ওই সমাজকর্মী। টাকা অঙ্কটি যায় হোক, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জিএসটি কেন নেওয়া হবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অজয় দুবে বলেন, "এটা পুরোপুরি অন্যায় এবং বেআইনি। কোনও সংস্থা আরটিআইয়ের জন্য জিএসটি দাবি করতে পারে না। তাছাড়া তথ্য জানার জন্য যদি টাকা দিতে হয় তাহলে তাহলে আর আরটিআইয়ের কোনও অর্থই থাকে না।" এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, এবার তথ্য জানার অধিকারেও কর আদায়ের চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। 

Highlights
বোর্ডের তরফে তাঁর কাছে মোট ৪৩ টাকা দাবি করা হয়।

৪৩ টাকার মধ্যে তথ্য সম্বলিত কাগজগুলির জেরক্স কপির জন্য ৩৬ টাকা।

বাকি ৭ টাকা জিএসটি হিসেবে চাওয়া হয়েছে।