ভুল কন্ডোম ব্যবহার করে গোপনাঙ্গে পচন, বিষয়টি জেনে সাবধান হয়ে যান

দীর্ঘক্ষণ ধরে যৌন সুখ উপভোগ করার জন্য অনেকে অনেক কিছুই করে থাকেন। লখনউয়ের এই যুবকেরও দোষ নেই। সুখের সময় বৃদ্ধি করতে তিনি বেছে নিয়েছিলেন 'এক্সটেন্ডেড প্লেজার'-এর কন্ডোম। নতুন ব্র্যান্ডের এই কন্ডোম ব্যবহার করতে গিয়েই তিনি নিজের বিপদ ডেকে আনেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম 'দ্য সান'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, কন্ডোমটি পরতেই তাঁর যৌনাঙ্গ নিজে থেকেই ফুলে উঠতে শুরু করে। তাতে অবাক হয়ে যান ৩০ বছর বয়সী যুবকটি। সেই ফোলা ভাব না কমায় এবং খুব জ্বালা করায় তিনি হাসপাতালে ছোটেন।
সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, যুবকটির ওই কন্ডোম পরে অ্যালার্জি হয়েছে। সেই কারণেই গোপনাঙ্গটি ফুলে গিয়েছে। এক চিকিৎসক আশিস শর্মা বলেন, ''এই যুবকের জানা ছিল না তাঁর কোনও কিছুতে অ্যালার্জি রয়েছে।''

তার পরে চিকিৎসকেরা বিভিন্ন টেস্ট করে নিশ্চিত হন এটা কোনও যৌন রোগ নয়। কন্ডোমের উপাদান বেনজোকেইন থেকেই তাঁর অ্যালার্জি হয়েছে।  সেই অ্যালার্জি থেকেই গ্যাংরিন হয়ে যায় যুবকের গোপনাঙ্গে। পচতে শুরু করে গোপনাঙ্গের মুখটি।

চিকিৎসকদের মতে, বেনজোকেইন এক ধরনের স্থানীয়ভাবে অবশ করে দেওয়ার ড্রাগ। যৌন সুখ দীর্ঘায়িত করার জন্য কন্ডোমে এই ধরনের ড্রাগ ব্যবহার করা হয়। শীঘ্রপতন আটকাতে ও যৌন সংসর্গের সময় বাড়াতে এই ধরনের কন্ডোম ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় সংস্থাগুলি।

এই ধরনের ঘটনা নাকি প্রথমে ১৯৯৬ সালে ধরা পড়েছিল। তার পর থেকে চারটি এই ধরনের ঘটনা সামনে আসে।

ডায়াবেটিস বা গোপনাঙ্গে আঘাত লেগে থাকলে কিংবা সেক্স টয় অতি ব্যবহার করলেও এই ধরনের রোগ হতে পারে বলেই চিকিৎসকদের মত। ডাক্তারেরা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলেও পরে যুবকটির গোপনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করতে হয় পচে যাওয়া কোষগুলিকে বাদ দিতে।

তিন সপ্তাহ ধরে চলে এই চিকিৎসা। ছয় মাস বাদে যুবকটি সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে চিকিৎসকদের দাবি। তাঁদের আরও বক্তব্য যদিও এই ধরনের রোগী তাঁরা সংখ্যায় কম পান, তবে অনেকেই সামাজিক লজ্জার ভয়ে এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে আসতে চান না।

কন্ডোম ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন না তাঁরা। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, অনেকেই জানেন না কীসে তাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে। তবে গোপনাঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।