বিবেকের পরিবারের দাবি মেনে নিল যোগী সরকার, ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণ


বিবেক তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডের মৃতের পরিজনদের সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নিল যোগী সরকার। বিবেক তিওয়ারির পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে জেলাপ্রশাসন। এমনকি পরিজনরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইলেও রাজি সরকার। 

বলে রাখি, তাঁদের তিনটি দাবি রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিবেকের ভাই। সিবিআই তদন্ত, বিবেকের স্ত্রীকে চাকরিও ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী না আসলে বিবেকের দেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবাসে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে আসবেন কিনা, এব্যাপারে এখনও কোনও খবর মেলেনি। 

উত্তরপ্রদেশ পুলিসের বিরুদ্ধে কারণ-অকারণে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকটি এনকাউন্টারের ঘটনাও ঘটেছে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই কঠাগড়ায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে বিবেক হত্যাকাণ্ডে যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, ''এই ঘটনাটি এনকাউন্টার নয়। তদন্ত হবে। দরকারে সিবিআইকে দিয়েও তদন্ত করানো হবে''।

মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজিপি ওপি সিংয়ের বক্তব্য,''ঘটনাটি খুনের। অভিযুক্ত পুলিস কর্মীকে বরখাস্ত করা হবে। এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করব না। কড়া পদক্ষেপ করা হবে''। সাংবাদিক বৈঠকে লখনৌ পুলিসের সুপার কলানিধি নাইথানি বলেন,''ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। জেলাশাসক পর্যায়ের তদন্তের জন্য আমি নিজেই জেলাশাসকের কাছে অনুরোধ করেছি''।

সুলতানপুর জেলার বাসিন্দা বিবেক তিওয়ারি। পরিবারের সঙ্গে লখনৌয়ে থাকতেন তিনি। লখনৌয়ে অ্যাপেলের সেলস ম্যানেজার ছিলেন বিবেক। শুক্রবার রাতে মকদুমপুর পুলিস থানার কাছে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে এক পুলিস কনস্টেবল। ঘাতক পুলিস কর্মী প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁর বাইকে তিনবার ধাক্কা মারে বিবেকের গাড়ি। নিজেকে বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে গুলি চালান তিনি। গোমতি নগর থানায় প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন বিবেকের পরিবার। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিবেকের প্রাক্তন সহকর্মী জানিয়েছেন, দোষীর শাস্তি চান তিনি।