ত্রিপুরার পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল বিজেপি, একহাত নিল তৃণমূল


কলকাতা: এ যেন ইটের বদলে পাটকেল! রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত চলে গিয়েছিল বিরোধীরা, ঠিক সেই অভিযোগই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে করল তৃণমূল। ত্রিপুরাতে পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে 96 শতাংশ আসনেই জিতে গিয়েছে বিজেপি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। যা নিয়ে প্রবলভাবে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ছিল মোট আসনের 30 শতাংশ। গেরুয়া বাহিনীকে আক্রমণ করার এই 'সুবর্ণ সুযোগ' তাই হাতছাড়া করল না রাজ্যের শাসক দল। ত্রিপুরার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট 3000টি আসনের মধ্যে 96% আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল শাসক দল বিজেপি।

"এই জয় নিয়ে বিজেপি চুপ করে আছে কেন? আমরা যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলাম, তখন তো ওরা কোর্টে চলে গিয়েছিল। কত অভিযোগ! আমরা নাকি দাঙ্গা করেছি, হিংসা ছড়িয়েছি! কিন্তু এখন তো ত্রিপুরায় প্রায় সব আসন জিতে ওরা বসে আছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এখন কী বলবে বিজেপি"? প্রশ্ন করেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নিজেরা কাচের ঘরে বসে থেকে অন্যের দিকে পাথর ছোঁড়া উচিত নয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতলে তখন সেটা হয়ে যায় দাঙ্গা, হিংসা এইসবের ফল। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জিতলে সেটা গণতন্ত্র? এইসব বাচ্চাদের মতো যুক্তি দেওয়া এবার বন্ধ করুক ওরা"।

যদিও, তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে নির্বাচন সংক্রান্ত একটিও হিংসার ঘটনা ঘটেনি।

"দুটো নির্বাচনকে গুলিয়ে ফেললে তো চলবে না। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেরকম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল, সেরকম একটা ঘটনা কেউ দেখাতে পারবে ত্রিপুরায়? এরকম কিচ্ছু ঘটেনি", সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন বিজেপির রাহুল সিনহা।

ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র মৃণালকান্তি দেব আবার পিটিআইকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সঙ্গে ত্রিপুরায় বিজেপির এই জয়ের কোনও তুলনাই চলে না! এই জয় মানুষের জয়। মানুষ 'স্বতঃস্ফূর্ত' ভাবে বিজেপির পাশে ছিল বলেও জানান তিনি।