রেশন দোকান থেকে আর কিছুদিনের মধ্যে মিলবে ফ্রিজ, টিভির মতো পণ্য


কলকাতা: রেশন দোকান থেকে কিছুদিনের মধ্যে কেনা যাবে রেফ্রিজারেটার, টিভি, মিক্সার প্রভৃতি সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রেশন দোকানগুলিতে একটি সর্বভারতীয় শপিং মল সংস্থার মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, রেশনের দোকানে সরবরাহ করা কোনও কোনও পণ্যে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ পাবেন ক্রেতারা। রেশন কার্ড না থাকলেও এসব কেনাকাটা করা যাবে। তবে প্রথম পর্যায়ে ওই সংস্থা যে ৪০৩টি পণ্য উত্তর ২৪ পরগনার প্রায় ১৭০০ রেশন দোকানে সরবরাহ করবে, তার মধ্যে টিভি, ফ্রিজ নেই। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী দিনে তারা ছশোর বেশি পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের সব রেশন দোকানে এই প্রকল্পটি চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছে খাদ্যদপ্তর। এদিন খাদ্যদপ্তরের কনফারেন্স রুম থেকে ওয়েব ভিত্তিক দূর সঞ্চার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকল্পটির সূচনা করেন মন্ত্রী। এদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছ'টি মডেল দোকান চালু হয়েছে। রেশন দোকান সাজাতে বেসরকারি সংস্থাটি সাহায্য করছে।

খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটি কার্যকর করার জন্য শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাটির সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেটাই এখন কার্যকর হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে নামী ব্র্যান্ডের সাবান, বিস্কুট, মশলা, চা, কফি, শ্যাম্পু, চাল, ডাল, ভোজ্য তেল প্রভৃতি রয়েছে। খাদ্যদপ্তরের দাবি, সাধারণ খুচরো বাজারের থেকে কিছুটা কম দামে এখানে পণ্য মিলবে।

তবে এই প্রকল্পের বেশি পণ্য রেশন দোকানে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। অধিকাংশ রেশন দোকানের আয়তন খুব বেশি নয়। তার মধ্যে রেশন ব্যবস্থায় সরবরাহ করা চাল, গমের সঙ্গে এগুলি রাখতে হবে। দোকানের আয়তন বড় হলে রাখতে সুবিধা হবে। তবে ডিলারদের অনেকে বলছেন, উদ্যোগীরা এই সুযোগে নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। আশাপাশে নতুন জায়গা নিয়ে বেশি সামগ্রী রাখতে পারবেন। বেসরকারি সংস্থাটি রেশন দোকানের মাধ্যমে জামা-কাপড় বিক্রি করতেও আগ্রহী। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রা঩জ্যের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস কিনতে দূরে যেতে হবে না। গ্রামের রেশন দোকানেই তা মিলবে। এতে সাধারণ মানুষের খরচ কমবে।