কলকাতায় ছ’লাখি শাড়িতে মজেছে আমজনতা


কলকাতা: বাংলার তাঁতের হাট বসেছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গনে৷ এখানে আসলেই দেখা যাবে ছয় লাখ টাকার জামদানি শাড়ি৷ উদ্বোধনের দিনই প্রচুর শাড়ি প্রেমী মানুষ ভিড় জমিয়েছে মেলার ওই স্টলে৷ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা মোবাইলে ছবিও তুলে নিয়ে যাচ্ছেন৷ এই শাড়িতে মসলিনের উপরে ছবির মাধ্যমে রামায়ণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে৷ ফুলিয়ার কয়েকজন তাঁত শিল্পী ৫৭০ দিন ধরে শাড়িটি তৈরি করেছেন৷ অগষ্টের ৩১ তারিখ থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছ'লাখি শাড়িটি রাখা থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে৷ তবে 'নট ফর সেল'৷

রাজ্য সরকারি সংস্থা তন্তুজের এক কর্তা শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,''মেলায় কেনার জন্য যাঁরা আসবেন তাঁদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের নতুন শাড়ি৷ শারদোৎসবের প্রাক্কালে তন্তুজ এবছর বাংলার তাঁতের হাটে হাজির হয়েছে টাঙ্গাইলের পাঁচটি নতুন ডিজাইনের শাড়ি নিয়ে৷ এগুলো হল অপরাজিতা ,অনন্যা,চারুলতা,আলোছায়া এবং শঙ্খবেলা৷ দাম ২৪০০ থেকে ৩৬০০ টাকার মধ্যে৷ এছাড়াও মেলায় রয়েছে কন্যাশ্রী শাড়ি,গনেশের ছবি দিয়ে শাড়ি, জামদানী, বালুচরী, আরও কত কী৷ রয়েছে ১০৬ টাকা দামের শাড়িও৷ তন্তুজ ছাড়াও মেলায় যাদের শাড়ি পাওয়া যাবে সেই সব সংস্থার মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ খাদি গ্রামোদ্যোগ, বঙ্গশ্রী, মঞ্জুষা ও পশ্চিমবঙ্গ রেশম শিল্পী সমবায়৷ এছাড়াও রয়েছে অনেক নামীদামী সংস্থা তাদের শাড়ির সম্ভার নিয়ে মেলায় এসেছে৷

বস্ত্র শিল্প দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান,''বাংলার তাঁতের হাটে ২০১৭ সালে ২৪২ টি স্টল ছিল৷ বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শাড়ি৷ ২০১১ সালে বিক্রি হয়েছিল মাত্র দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা৷ এবছর মেলায় স্টল বসেছে ২৭০ টি, আশা করছি গত বছর থেকে এবছর আরও বেশি টাকার বিক্রি হবে৷ তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার প্রায় পাঁচ লক্ষ ৩১ হাজার তাঁত শিল্পীকে পরিচয় পত্র দিয়েছে৷ বর্তমানে পাঁচ হাজার বৃদ্ধ তাঁত শিল্পী মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন৷