মহিলাকে ধর্ষণ, মেয়ের শ্লীলতাহানি! কাঠগড়ায় দিল্লির পুলিশকর্তা


রক্ষকই ভক্ষক! বহু ক্ষেত্রে এমন নজির উঠে এসেছে আগেও। এবার কাঠগড়ায় দিল্লি পুলিশের এক এসিপি। দিল্লিরই এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, রমেশ দাহিয়া নামে ওই পুলিশ অফিসার তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি এবং ছেলেকে অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগও এনেছেন ওই মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রমেশ দাহিয়া। মহিলার এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

দিল্লির ডিসিপি (নর্থ) নুপুর প্রসাদ বলেন, ''মঙ্গলবার আমরা অভিযোগ পাই। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, অপহরণ-সহ সংশ্লিষ্ট সব ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য মামলা পাঠানো হয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চে। ওই বিভাগের গোয়েন্দারাই তদন্ত করবেন।''

মহিলার অভিযোগের সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন রমেশ দাহিয়া। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন ওই পুলিশ অফিসার। কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকিও দেন। এমনকি, রমেশ দাহিয়া তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানিও করেন বলেও অভিযোগ। ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও এনেছেন ওই মহিলা।

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে দিল্লির পুলিশ মহলে। সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে প্রথম ওই মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ফের অভিযোগ দায়ের করে জানান, তাঁকে ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি এবং ছেলেকেও অপহরণ করেছেন রমেশ দাহিয়া। তদন্তে নেমে বুধবার এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশের বক্তব্য, স্পর্শকাতর ও গুরুতর বিষয় বলে মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চে।

এর আগে দিল্লির সদর বাজার থানায় স্টেশন হাউস অফিসারের পদে ছিলেন রমেশ দাহিয়া। সম্প্রতি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসাবে পদোন্নতি হয় তাঁর।