গোপনাঙ্গ থেঁতলে খুন, স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন সাজা


আরামবাগ : বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন স্বামী। তাই প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে গোপনাঙ্গ থেঁতলে তাঁকে খুন করে স্ত্রী। এরপর বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেয় মৃতদেহ। ২০১২ সালে আরামবাগের এই খুনের ঘটনায় গতকাল স্ত্রী মিনা মালিক ও তার প্রেমিক মোকা সিংকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত।

আরামবাগের চুনাইয়ে ধীরেন মালিকরা পাঁচ ভাই। তাঁদের আলাদা সংসার। ছেলে-মেয়ের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে শুধু থাকতেন ধীরেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী। স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে জনৈক মোকা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ায় মিনা। বিষয়টি জানতে পেরে বাধা দেন ধীরেন। এনিয়ে শুরু হয় বচসা। ২০১২ সালের জুলাইয়ে মোকা ও মিনা পরিকল্পনা করে ধীরেনকে খুন করে। প্রথমে ধীরেনের গোপনাঙ্গ থেঁতলে দেওয়া হয়। তারপর আঘাত করা হয় তাঁর কান ও হাতে। এরপর বাড়ির পাশের একটি ডোবায় মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়। খুনের পর ৪ জুলাই মিনা ও মোকার বিরুদ্ধে আরামবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

আরামবাগ আদালতে শুরু হয় মামলা। মোট ১১ জন মামলায় সাক্ষ্য দেন। ৩০২, ২০১ ও ৩৪ নম্বর ধারায় দু'জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। গতকাল আরামবাগের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজের সেকেন্ড কোর্ট মিনা মালিক ও মোকা সিংকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়।

ধীরেনের ভাইয়ের স্ত্রী মনিকা মালিক বলেন, "মিনার সঙ্গে মোকার অবৈধ সম্পর্কের জেরে প্রায়ই অশান্তি হত। ভাসুরকে মারধর করত, তাঁকে খেতে পর্যন্ত দিত না মিনা। ঘটনার দিন রাত ১১টা নাগাদ মিনা আমাদের জানায় ভাসুরকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সে নিজেই বাড়ির পাশের ডোবায় খোঁজার জন্য সবাইকে বলে। সেখানে খোঁজা হলে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওদের এই সাজার পর আইনের উপর আমাদের ভরসা বেড়ে গেল।"

মিনা ও মোকার আইনজীবী মৃণালকান্তি পাঁজা বলেন, "এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।"