হিজবুলের হুমকির প্রভাব! কাশ্মীরে চার দিনে পদত্যাগ ৪০ জন পুলিশকর্মীর


কয়েকদিন আগেই একটি ভিডিও প্রকাশ করে হিজবুল জঙ্গিরা। কেন্দ্র সেটিকে সন্ত্রাসবাদীদের 'মিথ্যা প্রচার' বললেও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কার্যত স্বীকার করে নিল এর প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ কাশ্মীর পুলিশে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ জন পদত্যাগ করেছেন। তবে সেই সংখ্যা নগণ্য বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।

কিছুদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরে তিন পুলিশকর্মীকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারপর তাদের মেরে ফেলা হয়। নিহতদের দেহে গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ ঘটনার ঠিক তিন দিন পরে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হয় পুলিশকে। ওই ভিডিও বার্তায় পুলিশ ও সেনা জওয়ানদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ চাকরি না ছাড়লে হত্যা করারও হুমকি দেয় সন্ত্রাসবাদীরা৷ ভিডিওয় এও দেখানো হয় পুলিশকর্মীদের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে গিয়ে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় উপত্যকার পুলিশ প্রশাসনে৷ সূত্রের খবর, ছ'জন পুলিশকর্মী চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চিন্তাভাবনাও করছিলেন৷ কিন্তু দেখা যায় সত্যিই ৪০ জন এসপিও ও পুলিশকর্মী পদত্যাগ করেন বলে খবর। হুমকির জেরেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। চারদিনের মধ্যেই এই চাকরি ছাড়ার ঘটনায় উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি জঙ্গিদের এবার ভয় পেতে শুরু করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা? কিন্তু এই ঘটনাকে তেমন আমল দিতে নারাজ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জম্মু ও কাশ্মীরের চিফ সেক্রেটারি বিভিআর শুভ্রমণিয়ম বলেছেন, রাজ্যে ৩০ হাজারের উপর এসপিও রয়েছেন। যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, সেই সংখ্যাটি এর তুলনায় একেবারেই নগণ্য।

হিজবুলের ওই হুমকি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই দক্ষিণ কাশ্মীরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। কাশ্মীরের পুলওয়ামা, সোপিয়ান ও কুলগাঁওয়ের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কিন্ত কেন্দ্রের তরফে এই ভিডিওটি ভুয়ো বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে প্রায় ৩ হাজার এসপিও রয়েছেন। সেই অফিসার ও তাঁদের পরিবারদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। এমনকী তাদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরও চাকরিতে ইস্তফা দেয় কয়েকজন। তাদের মতে, চাকরির থেকে পরিবারের নিরাপত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারমেই পদত্যাগ করেছেন তাঁরা। তবে এই নিয়ে আপাতত উত্তপ্ত গোটা কাশ্মীরের পরিস্তিতি।