হরিয়ানায় গণধর্ষণে গ্রেপ্তার অন্যতম মূল অভিযুক্ত নিশু


রিওয়ারি (হরিয়ানা) : হরিয়ানায় CBSE টপারকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুই অভিযুক্ত। তার মধ্যে রয়েছে অন্যতম মূল অভিযুক্ত নিশু। এই নিয়ে মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করল SIT। নিশু এই ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে, এখনও অধরা আরও দুই মূল অভিযুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

শনিবার দীনদয়াল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল SIT। অপহরণের পর ধৃত দীনদয়ালের বাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই নির্যাতিতাকে। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের নির্দেশে রিওয়ারির পুলিশ সুপার রাজেশ দুগ্গালকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন পুলিশ সুপার হন রাহুল শর্মা। এরপর গতকাল গ্রেপ্তার হয় অন্যতম মূল অভিযুক্ত নিশু সহ সঞ্জীব নামে আরও এক অভিযুক্ত। সঞ্জীব পেশায় ডাক্তার। নির্যাতনের পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সঞ্জীবকে ধর্ষিতার শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিল। পরীক্ষা করে সে অবস্থা সংকটজনক জানানোর পরই নির্যাতিতাকে বাসস্ট্যান্ডে ফেলে আসা হয়েছিল।

অন্যদিকে, CBSE টপারকে অপহরণ ও ধর্ষণের পুরো ঘটনাটির পরিকল্পনা তারই করা বলে জানিয়েছে ধৃত নিশু। ধর্ষণের পর সঞ্জীবকেও সেই ডেকে এনেছিল বলে জানায় সে। বাকি দুই মূল অভিযুক্ত হল সেনাকর্মী পঙ্কজ ও মনীশ।

মেওয়াটের SP ও SIT-এর প্রধান নাজ়নিন ভাসিন বলেন, "ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হবে। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।" 

রিওয়ারির জেলা হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট বলেন, "নির্যাতিতার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আস্তে আস্তে সে ট্রমা কাটিয়ে উঠছে।"

রিওয়ারির নতুন পুলিশ সুপার রাহুল শর্মা বলেন, "নির্যাতিতার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এখন আমাদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার দিকেও আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। তবে, শুধু গ্রেপ্তার করা নয়, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে যাতে খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের বিচার করা যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে।"

রিওয়ারির ডেপুটি কমিশনার অশোক কুমার শর্মা বলেন, "আমি রিওয়ারি জেলা হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা নির্যাতিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে খুশি। তাই, পরবর্তী চিকিৎসাও এখানেই করানো হবে। আর আমার কাছে তাঁরা একটি অনুরোধ করেছেন। তাঁদের অনুমতি ছাড়া কেউ যেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে না আসে। তাই, আমরা বাইরে একটি কেবিন বানাচ্ছি, যেখানে কেউ চাইলে অনুমতি নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।"

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার বলেন, "পুলিশকে এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীরা গ্রেপ্তার হবেই। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করছি দোষীদের লুকাতে সাহায্য করবেন না। যদি কেউ কোনওভাবে দোষীদের সাহায্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"