দেশে গরিবি কমিয়েছে ইউপিএ সরকারই, দাবি চিদম্বরমের


এক দশকে ভারতে ২৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ দারিদ্র থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলে রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউএনডিপি। ২০০৫-'০৬ থেকে ২০১৫-'১৬, এই এক দশকে দেশে দারিদ্রের হারও প্রায় অর্ধেক কমেছে বলে জানিয়েছে ইউএনডিপি ও 'অক্সফোর্ড পভার্টি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ'-এর রিপোর্ট।

রিপোর্ট প্রকাশ হতেই এর পুরো কৃতিত্ব নিতে মাঠে নেমে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা মনমোহন জমানার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর বক্তব্য, ''এই দশ বছরের মধ্যে ইউপিএ-সরকারই আট বছর ক্ষমতায় ছিল।'' মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বরাবরই ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের বোঝার জন্য মনমোহন সরকারকে দায়ী করেন। তাঁকে খোঁচা দিয়ে আজ চিদম্বরমের কটাক্ষ, ''বিজেপি সরকার, তার ব্লগার ও তাঁর ভক্তদের কাছে সমস্ত সমস্যাই আগের সরকারের অবদান। মনে করিয়ে দিতে চাই, দেশের ২৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রের কবল থেকে বার করে আনাও আগের সরকারের অবদান।''

ইউএনডিপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৫-'০৬ থেকে দশ বছরে ভারতে দারিদ্রের হার ৫৫ শতাংশ থেকে কমে ২৮ শতাংশ হয়েছে। ১০৫টি মাঝারি ও কম আয়ের দেশে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাদের মোট জনসংখ্যা ৫৭০ কোটি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে ১৩০ কোটি মানুষ নানা দিক থেকে দারিদ্রের শিকার। এর  ৪৬ শতাংশই চরম দারিদ্রের মধ্যে রয়েছেন। দারিদ্রের মধ্যে জীবন কাটানো মানুষের অর্ধেকের বয়সই ১৮ বছরের কম।

রিপোর্টে ১০৪টি দেশের দারিদ্রের বর্তমান চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একমাত্র ভারতের ক্ষেত্রেই গত এক দশকে গরিবি কতটা কমেছে, সেটাও মাপা হয়েছে। শুধু আয়ের দিক থেকে নয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে মানুষ কতখানি দারিদ্রের শিকার, তা-ও মাপা হয়েছে এই সমীক্ষায়। এই সূচক অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র মলদ্বীপের অবস্থাই ভারতের থেকে ভাল। নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, আফগানিস্তান—সকলেই ভারতের থেকে পিছিয়ে।