ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষছে মায়ানমারের মাদক কারবারিরা


ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবকে হত্যার ছক করেছেন মাদক পাচারকারীরা। এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে। মায়ানমারের মাদক পাচারকারীরা নাকি তাঁকে হত্যার ছক কষছিলেন। ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, মায়ানমারের রাজধানী নয়পিডাউতে মাদকচক্রীরা বৈঠক করে বিপ্লববাবুকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল। একে তো মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার ছক, তার ওপর মায়ানমার যোগ করায় জড়িয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বলয়ও।

বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরু করেছিলেন। ইতিমধ্যে ত্রিপুরার নিরাপত্তাবাহিনী ৪১ হাজার কিলোগ্রাম মারিজুয়ানা, ৮০ হাজার বোতল অব্যবহৃত কাশির সিরাপ, ১ লাখ ৩৫ হাজার ট্যাবলেট, দুই কিলোগ্রাম হেরোইন এবং ৬২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ–২৫০ বেশি মাদক পাচারকারীকেকে আটক করেছে। বিজেপির সদর দপ্তরে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে রতনবাবু বলেন, '‌কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অত্যন্ত চিন্তিত। কারণ মাদক পাচারকারীরা মায়ানমারের রাজধানীতে একটি বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকে বিপ্লবকুমার দেবকে উৎখাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাদক পাচারকারীরা তাঁর জন্য মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। আগের বামফ্রন্ট সরকার এবং তাঁর নেতারা ড্রাগ মাফিয়াদের সাহায্য করতেন। তাই তারা রাজত্ব চালাতে পারত। ক্ষমতায় এসেই বিজেপি সরকার ত্রিপুরাকে মাদকমুক্ত রাজ্য গঠনের ঘোষণা করে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষা হচ্ছে।'‌