মেয়ের পড়ার জন্য মাসে ৪০ হাজার দিতে হবে শোভনকে, নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত


বাবা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের মন্ত্রীও। তা সত্ত্বেও মেয়ের পড়়াশোনার খরচ আদায় করতে আদালতে ছুটতে হয়েছিল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দিলেন, মেয়ে সুহানি চট্টোপাধ্যায়ের পড়াশোনার খরচের জন্য শোভনকে মাসে ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। বাকি টাকা দেবেন মা।
যদিও আলিপুর আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন মেয়র। বেশ কয়েক মাস ধরে শোভন-রত্নার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে আলিপুর আদালতে। বিচারকের কাছে হলফনামা পেশ করে সেই মামলার খরচ বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন রত্নাদেবী। আলিপুর নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক সে জন্যে অবশ্য শোভন চট্টপাধ্যায়কে এককালীন ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন মেয়রের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধায়ও। সর্ব ক্ষণ তাঁকে মেয়রের পাশেই দেখা গিয়েছে। পরে মেয়রের আইনজীবী বলেন, ''আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি। রায়ের কপি হাতে এলেই পিটিশন দাখিল করা হবে।''

গত বছর স্ত্রী রত্নাদেবীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন মেয়র। মামলা চলাকালীন কলেজ শিক্ষিকা বৈশাখীদেবীর সঙ্গে মেয়রের নাম জড়িয়ে জলঘোলা হয়। সম্প্রতি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এ নিয়ে কথা শুনতে হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

মেয়র বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করলেও, আদালতে হলফনামা পেশ করে রত্না জানিয়েছিলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক জুড়তে চান তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি শোভনবাবু। এর প্রভাব পড়ে মেয়ের পড়াশোনাতেও। একটা সইয়ের জন্যে মেয়েকে নিয়ে মেয়র গোলপার্কের কাছে যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার সামনে ফুটপাতে ধর্নায় বসেছিলেন রত্নাদেবী। পরে মেয়রের অভিযোগে রবীন্দ্র সরোবর থানা রত্নাকে গ্রেফতারও করে।

তার পরেই মেয়ের পড়াশোনা চালানোর খবর বাবদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চালানোর জন্যে ১৫ লাখ টাকাও দাবি করেন। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেন শোভনবাবু। শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেয়র পত্নী। এ দিন তারই রায় দিল নিম্ন আদালত।

কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।