বনধে অশান্তি হলে দায় রাজ্য সরকারের : মুকুল


কলকাতা : "রাজনৈতিক দল হিসেবে BJP তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ করেছে। ধর্মঘটের দিন রাস্তায় নেমে যদি কোনও অশান্তি হয় তার দায়িত্ব পুরোটাই রাজ্য সরকারের।" আগামীকালের ডাকা বনধ নিয়ে রাজ্যে সরকারকে এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন মুকুল রায়।

২৬ সেপ্টেম্বর বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে রাজ্য BJP। ইসলামপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বনধের ডাক দিয়েছে তারা। আর এই বনধ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও শাসকদলের তরফে বনধের বিরোধিতায় কর্মী-সমর্থকদের পথে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল BJP-র রাজ্য সদর দপ্তরের সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, "নিশ্চিত করে আমি সবাইকে বলছি মানুষ ধর্মঘট করবে। তাই BJP কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আমি জানাতে চাই, বনধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন। কিন্তু রাস্তায় নেমে কেউ গন্ডগোল করবেন না। রাস্তায় নেমে কেউ মারামারি করবেন না। কারণ, আমরা সন্ত্রাসবাদী দল নয়। সন্ত্রাসবাদী দল হলে সন্ত্রাসের মোকাবিলা সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে করতাম। আমরা মানুষের কাছে যাব। আমার বিশ্বাস মানুষ বনধের পক্ষে দাঁড়াবে। বনধ হবে কি হবে না তা সাধারণ মানুষ ঠিক করবে।"

উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি শংকর চক্রবর্তীর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, "এটা ফ্যাসিস্ট সরকারের একটা নিদর্শন। নন্দীগ্রামে রাস্তা কাটার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আজ মুখ্যমন্ত্রী সরকারে এসে ফ্যাঁসিস্ট হয়ে গেছেন। তিনি তাঁর অতীত ভুলে গেছেন।"

রাজ্য BJP সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামীকাল কলকাতায় দুটি মিছিল বের করা হবে। একটি মিছিল হবে উত্তর কলকাতায়, অন্যটি দক্ষিণ কলকাতায়। শ্যামবাজার থেকে একটি মিছিল ধর্মতলা যাবে। হাজরা থেকে অন্য আরেকটি মিছিল ধর্মতলা আসবে। শ্যামবাজারের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে পারেন মুকুল রায়। হাজরা থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে পারেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য দপ্তর থেকে যে মিছিল বের হবে তার নেতৃত্বে পারেন রাহুল সিনহা। আজ বনধ নিয়ে রাজ্য দপ্তরে একটি বৈঠক হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। উত্তরবঙ্গে বনধের সমর্থনে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।