উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল কলকাতাও


ভূমিকম্পে কাঁপল উত্তরবঙ্গ। রেশ এসে পড়ল কলকাতা পর্যন্ত। কম্পন অনুভূত হয়েছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার থেকে শুরু করে মালদহ, মুর্শিদাবাদেও। বেলা ১০টা ২৫ নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। সেক্টর ফাইভের বহুতলেও কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই আতঙ্কে বহুতল থেকে রাস্তায় নেমে আসেন অফিসকর্মীরা।

কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে ভূমিকম্পের খবর আসতে থাকে। কম্পন অনুভূত হয় কোচবিহার, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। শুধু রাজ্যে নয়। এদিন সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ভূস্বর্গ জম্মু–কাশ্মীরও। একইসঙ্গে পড়শি রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসমেও কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৫। জানা গিয়েছে অসমের কোকরাঝাড়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমারের কম্পন অনুভূত হয়।

বুধবার ভোর ৫.১৫ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে ভূস্বর্গ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। ভূমিকম্পের উৎসস্থল উত্তর কার্গিল। এদিকে ঠিক ভোর ৫টা ৪৩ মিনিট নাগাদ আরও একটি কম্পন টের পাওয়া যায় হরিয়ানার ঝাজ্জরে৷ এর তীব্রতা ছিল ৩.১৷ তবে এই দুটি কম্পনেই কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি৷

চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে চতুর্থবার ভূমিকম্প অনুভূত হল। যদিও সবকটির তীব্রতা কম৷ গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের মীরাটে ভূমিকম্প হয়। যার তীব্রতা ছিল ৩.৬। কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি, হরিয়ানাতেও৷

এছাড়া ৯ এবং ১০ আগস্ট পরপর কম্পন অনুভূত হয় রাজধানীতে। দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা কেঁপে ওঠে। পরপর এইভাবে ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত রবিবার বিকেলেও আচমকা কম্পন অনুভূত হয় দিল্লিতে। বিকেল ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। এরপর বুধবার আবার কম্পন অনুভূত হল উত্তরবঙ্গ, কলকাতা সহ কাশ্মীর এবং হরিয়ানায়।