যমজ ভাইয়ের হাত ধরে শুটিং সোনা


সফল: বিজয়বীর-উদয়বীর। বড় মঞ্চে সোনা জিতে যমজ ভাই। 


উদয়বীর সিধু। বয়স ষোলো। বিশ্ব শুটিংয়ে ২৫ মিটার পিস্তলে ব্যক্তিগত সোনাজয়ী। একই সঙ্গে সে এই ইভেন্টে সোনাজয়ী ভারতীয় দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আরও মজা হচ্ছে, এই দলে (তিন জনের দল) ছিল তার যমজ ভাই বিজয়বীর সিধুও। দলের তৃতীয় সদস্য পাতিয়ালার রাজকানোয়ার সান্ধু।
উদয়বীর চণ্ডীগড়ের মানসার বাসিন্দা। ২৫ মিটার পিস্তলে সে স্কোর করে ৫৮৭। সোনা জেতে যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি লেভেরেতকে ছাপিয়ে গিয়ে। উদয়বীরের ভাই বিজয়বীর হয় চতুর্থ। রাজকানোয়ার পায় ২০ নম্বর স্থান। কিন্তু এই তিন জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সহজেই আসে দলগত সোনা। মোট ১৭৩৬ স্কোর। 
নিজের ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে উদয়বীরের প্রতিক্রিয়া, ''কোরীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আমাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। দরকার ছিল মাথা ঠান্ডা রাখা। আমি অন্তত সেটাই করেছি। আর র‌্যাপিড রাউন্ডে লড়াইটা আমার পক্ষে গিয়েছে। দেশের জন্য সোনা জিততে পেরে আমি দারুণ গর্বিত।''
ব্যক্তিগত লড়াইয়ে পদক পায়নি উদয়বীরের ভাই বিজয়বীর। তবে দলগত সোনা জিতেও সে সমান খুশি। বলেছে, ''একটুর জন্য ব্যক্তিগত বিভাগে পদক পাইনি। তবে দলগত সোনা পেয়েও আমি দারুণ খুশি। এমনিতে আমরা দুই ভাই-ই একসঙ্গে অনুশীলন করি। সব সময়ই নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান হয়। বলতে পারেন এটাই আমাদের সব চেয়ে বড় শক্তি।'' ছেলেদের সাফল্যে দারুণ খুশি হলেও তাদের মা রানো কৌরের মন খারাপ অন্য কারণে। বলেছেন, ''ওদের বাবা আজ বেঁচে নেই। এটা ভাবলেই খুব খারাপ লাগছে। বাবা থাকলে উনি আজ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হতেন।''
এ দিকে সিনিয়রে পুরুষদের স্ট্যান্ডার্ড পিস্তলে এ দিন রুপো জিতলেন গুরপ্রীত সিংহ। সিনিয়রে গুরপ্রীতের রুপো জেতাটা বড় খবর। তিনি স্ট্যান্ডার্ড পিস্তলে এ দিন স্কোর করেন ৫৭৯। সোনা জেতেন ইউক্রেনের পাবলো কোরোসিলভ (৫৮১) ও ব্রোঞ্জ কোরিয়ার কিম জুন হং (৫৭৯)। কিম আর গুরপ্রীতের স্কোর একই ছিল। কিন্তু ইনার টেন-এ কোরীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাপিয়ে যান গুরপ্রীত।