২৮ হাজার পুজো কমিটি পিছু ১০ হাজার টাকা দেবে মমতার সরকার


নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে আলোচনায় মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় মমতা ব্যানার্জি বলছিলেন, '‌নিজে হয়তো সব পুজোতে উপস্থিত থাকতে পারি না, কিন্তু খেয়াল রাখবেন, আমি কিন্তু সব পুজো কমিটির সঙ্গেই আছি।'‌ সেটা এ স্রেফ কথার কথা নয়, সেটা ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন মমতা। পুজোর আগে কল্পতরু মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের ২৫ হাজার পুজো কমিটি পিছু সরকারের কাছ থেকে উপহার বাবদ ১০ হাজার টাকা পাবে। মমতা বলেন, '‌কলকাতায় বড় ছোট সব মিলিয়ে তিন হাজার বারোয়ারি পুজো হয়। জেলায় ২৫ হাজার বারোয়ারি পুজো হয়। এই ২৮ হাজার পুজো কমিটির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এর জন্য মোট ২৮ কোটি টাকা খরচ হবে। রাজ্যবাসীর জন্য এটাই আমাদের ক্ষুদ্র উপহার।'‌

শুধু তাই নয়, এবছরের পুজো কমিটিগুলোকে দমকল ও বিদ্যুতের অনুমতি নিতে জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। এবারের বিজয়া দশমী ১৯ অক্টোবর। প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে ২২ অক্টোবরের মধ্যে। ২৩ অক্টোবর বেলা চারটেয়। রেড রোডে গতবছরের মতো এবছরেও পূজা কার্নিভাল হবে। গতবার এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছিল ৫৫টি পুজো কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা, এবার সংখ্যাটা বেড়ে হোক ৭৫টি। ২৪ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মীপ্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। কলকাতার পুজোর ক্ষেত্রে সরকারের অনুরোধে আগের বার ১৮ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল সিইএসই–র তরফে। এবার সেই ছাড় ২২ শতাংশ করার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 
জেলায় জেলায় সমস্ত ধর্মের সমস্ত নাগরিকদের নিয়ে মিটিং করে নেওয়ার নির্দেশ। শুধু দুর্গাপুজো নয়, মহরমের কথাও মাথায় রাখতে হবে বলে মমতার নির্দেশ, '‌ধর্ম যার যার। কিন্তু উৎসব সবার। সব ধর্মের সমস্ত মানুষকে নিয়ে উৎসবের মরসুমে শান্তিতে থাকতে হবে।' নাম না করে বিজেপিকেও বিঁধতে ছাড়েননি মমতা। বলেন, '‌এখন একটা উদ্ভট রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছে। ধর্মের ইজারা যেন ওরা একাই নিয়ে বসে আছে। ওদের উস্কানিতে কান দেবেন না। ওরা মানু্ষে মানুষে ঝগড়া লাগাতে চায়। ধর্মকে হাতিয়ার করে দাঙ্গা লাগাতে চায়। কিন্তু আমরা সব ধর্মকেই ভালবাসি। সবাইকে চলার নামই ধর্ম। সেটা সকলে মাথায় রাখবেন।'‌‌‌‌‌