চৌবাগায় লকগেটের কাছে উদ্ধার মহিলার বস্তাবন্দি দেহ


পাম্পিং স্টেশনের ভিতরে লকগেটের কাছে পাওয়া গেল এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার বস্তাবন্দি দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পশ্চিম চৌবাগা ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কর্মীরা দু'নম্বর লকগেটের কাছে একটি বড় বস্তা আটকে থাকতে দেখেন। বস্তাটিকে খুঁটিয়ে দেখার পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, ভিতরে ভারী কিছু রয়েছে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরে পাম্পিং স্টেশনের কর্মীরা লকগেটের মুখ থেকে সেই বস্তা তুলে আনেন। বস্তার বন্ধ মুখ কেটে ২৮-৩০ বছর বয়সী এক মহিলার দেহ পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা জানান, লাল রঙের কুর্তি ও কালো পাজামা পরা ওই মহিলার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এমনকি, কোনও ধরনের নির্যাতনের চিহ্নও মেলেনি। মহিলার হাতে ছিল পলা ও লোহার বালা। তাঁর গালের নীচের অংশে চামড়া কিছুটা কুঁচকে ছিল। তবে তা থেকে যে মহিলার মৃত্যু হয়নি, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দেহটি উদ্ধারের পরেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশকর্তারা জানান, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলেই তাঁদের সন্দেহ। তবে, যা ঘটেছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটেছে। কারণ, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহে তখনও কোনও পচন ধরেনি। এমনকি, মৃতার পায়ের চামড়া সাদা হয়ে গেলেও পা ফোলেনি।

আনন্দপুরের ওই পাম্পিং স্টেশনে লকগেটের যে দিক থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান, সেটি কলকাতার দিক থেকেই ভেসে এসেছে। এক পুলিশকর্তা জানান, মৃতার পরিচয়পত্র পাওয়াটা খুব জরুরি। দেহের শনাক্তকরণ হলে তদন্তে সুবিধা হবে।