দাউদ-সইদের খোঁজে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা

বড়সড় ঘোষণা করল আমেরিকা। সেই দেশের তরফে জানানো হয়েছে, মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমকে খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে তারা। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে এক আলোচনাসভায় একথা জানিয়েছে আমেরিকা।

১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে অন্যতম চক্রী ছিল দাউদ ইব্রাহিম। মাস্টারমাইন্ড ছিল সে। তারপর থেকে ভারতের ব়্যাডারে রয়েছে দাউদ। আর আমেরিকাও দাউদকে গ্লোবাল টেরোরিস্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে। তার মাথার দাম ধার্য হয়েছে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে শুধু দাউদ ইব্রাহিমই নয়। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের খোঁজেও ভারতকে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। সইদও আমেরিকার কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। তাই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতকে এক্ষেত্রে সবরকমভাবে সাহায্য করবে আমেরিকা।

তবে যে শুধু এই দুই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুই দেশ একত্রিত হয়েছে, তা নয়। আল কায়দা, আইএস, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, তেহরিক-ই-তালিবান, ডি-কোম্পানি ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীকেও গোড়া থেকে উপড়ে ফেলার জন্য জোটবদ্ধ হয়েছে ভারত ও আমেরিকা। এর জন্য দরকার পড়লে পাকিস্তানের উপর আরও চাপ বাড়াবে তারা। কারণ, সেই দেশের মাটিতে যে সন্ত্রাসবাদের চাষ হচ্ছে তা কারোর অবিদিত নেই। তাই সন্ত্রাসদমন করতে হলে যে পাকিস্তানকে চাপে রাখতে হবে, তা ভালই বুঝেছে আমেরিকা।

বৃহস্পতিবার ভারত ও আমেরিকার মধ্যে 'টু প্লাস টু' (২+২) মডেলের এই আলোচনা প্রক্রিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বন্ধুত্ব, সামরিক বোঝাপড়া আরও মজবুত করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। দিল্লিতে একটানা তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওকে পাশে বসিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সঙ্গে ছিলেন দুই দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ অফিসাররা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পম্পেও এবং ম্যাটিস হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দুই শীর্ষ পদাধিকারী।