ধর্ষণ করে মার, দেগঙ্গার রাস্তায় উদ্ধার অচৈতন্য জখম মহিলা


দিন কয়েক ধরেই বারাসত-টাকি রোডে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন মধ্যবয়সী এক মহিলা। কী নাম, কোথায় বাড়ি, কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিচ্ছিলেন না। শনিবার সকালে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুর এলাকায়।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তাঁর মাথায়। পুলিশ তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও করিয়েছে। আজ, রবিবার বারাসত আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। এ দিকে, ওই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। ধৃতের নাম বাবর আলি। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে মারধর এবং ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক জনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত চলছে।''

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবঘুরে ওই মহিলা কয়েক দিন ধরেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। গত দু'দিন ধরে তাঁকে কলসুর শেখের মোড় এলাকায় দেখা যাচ্ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই তাঁকে খাবার দিতেন। এ দিন তাঁরা জানান, ওই মহিলার ভাষা বুঝতে পারতেন না তাঁরা। জানতেন না তাঁর পরিচয়ও। এ দিন সকালে ওই এলাকাতেই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাথর বা ইট জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করায় ওই মহিলার মাথায় গভীর ক্ষত হয়ে গিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। গোটা শরীরও ভিজে গিয়েছিল রক্তে। এর পরেই তাঁকে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় গভীর ক্ষত থাকায় বেশ কয়েকটি সেলাইও পড়ে। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরে পুলিশ ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষাও করায়।

এ দিন সাকিলা বিবি নামে এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, ''শুক্রবার রাতে ওই মহিলার আশপাশে রানিহাটির বাসিন্দা বাবর আলিকে ঘুরতে দেখেন অনেকেই। পরের দিন সকালে বাবরের খোঁজ করে দেখা যায়, তার পোশাকে রক্ত লেগে রয়েছে। তখনই সন্দেহ হয় সকলের।'' 

এর পরেই বাবরকে ধরে মারধর শুরু করে ক্ষিপ্ত জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশও জানিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলা যায়নি। তাই এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি তার পরিচয়। তবে তদন্ত চলছে।