মেয়েদের চুলের ক্লিপেই মেট্রোতে দেখা দিল বিভ্রাট।


মেয়েদের মাথার ক্লিপেই মেট্রোতে দেখা দিল বিভ্রাট। ক্লিপের ভাঙা অংশ দরজার ভিতরে ঢুকে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে বন্ধই করা গেল না দরজা৷ সময় নষ্ট না করে দরজা খোলা রেখের বেলগাছিয়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ছুটল মেট্রো৷ তবে, দুর্ঘটনা এড়াতে খোলা দরজা আগলে রাখেছিলেন আরপিএফ জওয়নরা৷ রিলে সিস্টেমে গেট পাহারাও দিতে দেখা গেল আরপিএফ জওয়ানদের৷

যাত্রীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ১১টা নাগাদ, ডাউন ট্রেনটি বেলগাছিয়া ঢোকার পর যান্ত্রিক বিভ্রাট বুঝতে পারেন চালক৷ ট্রেনটি ছাড়ার মুহূর্তে দেখা যায়, প্রথম কামরার প্রথম দরজা বন্ধ হচ্ছে না৷ চালক ও আরপিএফ কর্মীরা দেখতে পান, স্লাইডিং দরজার ভিতরে মেয়েদের মাথার ক্লিপ৷ নাড়ানাড়িতে অর্ধেক ভেঙে হাতে এলেও বাকিটা থেকে যায় দরজার মাঝের অংশের মধ্যেই৷ দরজার প্যানেলের মধ্যে ক্লিপ আটকে যাওয়ার কারণে দরজা বন্ধ হয়নি৷ বহু চেষ্টার পর দরজা বন্ধ না হওয়ায়, সময় নষ্ট না করে ট্রেন ছোটানোর সিদ্ধান্ত নেন চালক ও গার্ড৷

যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে, রেল পুলিশকে দিয়ে গেট আগলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ পরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে গোট খুলে রেখে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি৷ বেলগাছিয়ার কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী দরজা হাত দিয়ে আগলে রাখেন৷ চাঁদনিতে এসে আরপিএফ কর্মী বদল হয়৷ সেই অবস্থায় চলতে থাকে মেট্রো৷ মাঝেমধ্যেই চালক নেমে চেষ্টা করলেও দরজা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি৷ ফলে ট্রেনটি সাময়িক বিলম্বে চলে শুরু করে৷

কীভাবে দরজার ফাঁকে ঢুকল ক্লিপের অংশ? রেক পরিষ্কারের সময় কী কারো নজরে পড়েনি গোটা বিষয়টি? তাহলে কি রেল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি রয়েছে? মেট্রো বিভ্রাটের পর প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীদের একাংশ৷ যাত্রীদের অভিযোগ, এমনিতেই একাধিক মেট্রো স্টেশনে বিকল এক্স-রে মেশিন৷ কাজ করে না ডোরফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর৷ আরপিএফ জওয়ানদের মধ্যেও রয়েছে গা ছাড়া ভাব৷ সব মিলিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরের লাইফলাইনের নিরাপত্তায় রয়েছে চূড়ান্ত গলদ।