রণেভঙ্গ বিজেপির! দু’ঘণ্টা আগেই বনধ প্রত্যাহার করে ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ ঘোষ

নির্দিষ্ট সময়ের দু-ঘণ্টা আগে বনধ প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি। আদতে ১২ ঘণ্টার বনধ দাঁড়াল ১০ ঘণ্টায়। বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকে বনধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, বনধের উদ্দেশ্য সফল, তাই আমরা দু-ঘণ্টা আগেই বনধ প্রত্যাহার করছেন। যদিও বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে রণেভঙ্গ বলেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি এদিন বনধ শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করেন। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, আমরা কোথাও কোনও জোর করিনি। স্বতঃস্ফূর্ত বনধ হয়েছে। এ জন্য বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ। ইসলামপুরে যে সংবেদনশীল ঘটনা ঘটেছে, তা মানুষ ভালোভাবে নেননি। সেই ইস্যুতে বনধে বিজেপি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে।
দিলীপ ঘোষের দাবি, বিজেপি কোনও অশান্তি করেনি, বাস ভাঙুচর বা অগ্নিসংযোগ করেনি। তৃণমূলই বনধ রুখতে নেমে হিংসার আশ্রয় নিয়েছে। বিজেপির বদনাম করতে তৃণমূল আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ৭৩ বার বনধ ডেকেছেন। ৩৬ ঘণ্টা বনধ করেছেন, এখন তিনি বনধকে কর্মনাশা বলছেন। তাঁর প্রশ্ন, যখন তিনি নিজে বনধ ডাকতেন, তখন মনে হয়নি বনধ কর্মনাশা।

দিলীপ ঘোষের কথায়, এতদিন রাজ্যের বুকে শাসক দল যখন বনধ ডেকেছে, তখনই একমাত্র স্বতঃস্ফূর্ত বনধ হয়েছে। এই প্রথম বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে বনধ সফল করে দেখাল। এ প্রসঙ্গে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ইসলামপুরের দাড়িভিটে ঢুকতে চেয়েছিলেন, পারেননি। পরে শিলিগুড়ির দিয়ে তিনি ঢোকেন ইসলামপুরে। সেখানে কোনও জনসভা করতে পারেননি। সমাজবিরোধীদের নিয়ে মিছিল করেন শুধু।

তিনি বলেন, এদিনের বনধ স্পষ্ট করে দিয়েছে। রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছেই। তৃণমূলের অপশসানের অবসান ঘটাবেন তাঁরাই। তা আর বেশি দূরে নয়। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের প্রতি মানুষের অনাস্থা। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন, বিজেপি তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।