স্বপ্নার বাড়িতে পদ্মশ্রী প্রাপক করিমুল


উত্তরবঙ্গের এক তারকা আরও এক তারকার বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনা জানালেন তাঁর বাবাকে। দুই তারকাই উত্তরবঙ্গে প্রথম। বুধবার বিকেলে এশিয়ান গেমসে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রথম স্বর্ণপদক পাওয়া মেয়ে স্বপ্না বর্মণের বাড়িতে গেলেন উত্তরবঙ্গের প্রথম পদ্মশ্রী প্রাপক করিমুল হক। এদিন অবশ্য বাড়িতে স্বপ্নার মা ছিলেন না। তিনি দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

বাড়িতে ছিলেন বাবা পঞ্চানন বর্মণ এবং দাদা অসিত বর্মণ। এদিন বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ করিমুল হক স্বপ্নার বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই স্বপ্নার বাবা পঞ্চাননকে জড়িয়ে ধরে বলেন, "এমন মেয়ের জন্ম দিলেন যে দেশের, বাংলার এবং উত্তরবঙ্গের মুখ উজ্বল করল।" তিনি তার হতে ফুলের তোড়া এবং স্বপ্নার জার্সির নম্বর ২৯৫ লেখা একটি কেক উপহার দেন। তিনি তেরঙ্গা রঙে তৈরি একটি উত্তরীয় তাঁর গলায় পরিয়ে দিয়ে বলেন, "তেরঙ্গা পতাকার সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার মেয়ের। আশা করি ও আগামী আলিম্পিক থেকে পদক আনবে। ও আমাদের গর্ব।" তিনি পঞ্চাননের মুখে মিষ্টি তুলে দেন।

করিমুল বলেন, "খেলোয়াড়ের কোন জাত নেই। খেলোয়াড় না হিন্দু না মুসলিম, ডাক্তার না ইঞ্জিনিয়ার, ঠেলা চালায় না রিক্সা চালায় এগুলো কিছু না। যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা এবং রক্তের কোনও জাতপাত নেই। খেলোয়াড়রা শুধুই খেলোয়াড়।" বাড়িতে করিমুলের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পরে যায়। তিনি বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করেন। তবে অসুস্থ থাকায় বেশি কথা বলতে পাড়েননি স্বপ্নার বাবা পঞ্চানন। করিমুল স্বপ্নাদের বাড়িতে ৪৫ মিনিট ছিলেন।

বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ দার্জিলিং থেকে ফেরেন স্বপ্নার মা। তাঁকে ফোন করা হলে বাড়ির বড় ছেলে অসিত বলেন, "মা সবে ফিরেছে। মাথা চক্কর দিচ্ছে। একটু সুস্থ হয়ে আধঘণ্টা পরে কথা বলবেন।" স্বপ্নার বাড়িতে দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। দেখা গেল জোরকদমে দু'টি অগভির নলকুপ বসানোর কাজ চলছে। একটি স্বপ্নাদের বাড়িতে আসার রাস্তায় এবং অন্যটি স্বপ্নাদের বাড়িতে।