ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে রুখতে ধরনায় বউ, মা-ও

অবস্থান: বিয়ে আটকাতে শাশুড়ি ও বউমার ধরনা।

ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে আটকাতে বিয়ে আটকাতে পুত্রবধূর পাশে দাঁড়ালেন শাশুড়ি।


বৃহস্পতিবার কোচবিহারের নিউটাউন এলাকায় পুত্রবধূ ও তাঁর সাড়ে তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বিয়ে বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন শাশুড়ি। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গৃহবধূর নাম সুলগ্না সাহা। শাশুড়ির নাম গায়ত্রী সাহা। অভিযুক্ত স্বামীর নাম দীপক কুমার সাহা। বিষয়টি নিয়ে এ দিন সুলগ্নাদেবী কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ওই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি তুলেছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বলেন, "ওই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

ওই গৃহবধূর সঙ্গে এ দিন থানায় যান কোচবিহার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানন্দ সাহা। তিনি বলেন, "ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এভাবে কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে না। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছি আমরা।"

কোচবিহার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অমরতলা এলাকার বাসিন্দা গায়ত্রীদেবী। কোচবিহার বাজারে তাঁদের কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর ছেলে দীপকবাবু সামাজিক মতে সুলগ্নাদেবীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পড়ে তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়। সুলগ্নাদেবী অভিযোগ করেন, বিয়ের কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে অন্য একাধিক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়ে তিনি বহুবার প্রতিবাদও করেছেন।  তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি। এই অবস্থায় তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে ডিভোর্স মামলা করেছে। সেই সংক্রান্ত সঠিক কোনও তথ্য জানতেন না। এ দিন নিউটাউনের এক তরুণীকে তাঁর স্বামী বিয়ে করছে জানতে পেরে তিনি ধর্নায় বসেন।

সুলগ্নাদেবী বলেন, "আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। এখন সন্তানকে নিয়ে আমাদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।" গায়ত্রীদেবী বলেন, "বউমা সন্তান নিয়ে আমার সঙ্গে থাকেন। আমার ছেলে অন্যায় করছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি দাঁড়িয়েছি।"

অভিযুক্ত যুবক সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দীপকবাবু বলেন, "আমি আগের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছি। সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি অন্যায় কিছু করছি না। আমার মাকে চাপ দিয়ে মিথ্যে বলানো হচ্ছে।" গায়ত্রীদেবী অবশ্য চাপের কথা উড়িয়ে দিয়ে নিজের ছেলের বিরুদ্ধেই সরব হন। যে পরিবারে দীপকবাবু এদিন বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা অবশ্য কিছু বলতে চাননি।