অস্কারের দৌড়ে রীমা দাসের ছবি ‘ভিলেজ রকস্টার্স’


রীমা দাসের ছবি 'ভিলেজ রকস্টার্স'-কে অস্কারে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নিল 'ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া'। ৬৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে 'স্বর্ণকমল' পাওয়া ভিলেজ রকস্টার্স এর আগে দেশ-বিদেশে বেশ কিছু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে। অস্কারের দৌড়ে এই প্রথম অসম তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও ছবি জায়গা করে নিল। খবর পেয়ে চোখে জল রীমার। বললেন, ''ভাবতেও পারিনি, গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে নামমাত্র খরচে তৈরি ছবিটা এমন স্বপ্নের উড়ানে পৌঁছে যাবে!''

অসমের অভিনেতা আদিল হুসেন অভিনীত নরওয়ের ছবি 'হোয়াট পিপল উইল সে' এ বছরই নরওয়ে থেকে অস্কারের দৌড়ে নির্বাচিত হয়েছে। ওই ছবির পরিচালক পাক বংশদ্ভূত লেখিকা, চিত্রনাট্যকার ইরম হক। অস্কার মনোনয়নের খবর পেয়ে রীমাকে অভিনন্দন জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

রীমার প্রথম ছবি অন্তর্দৃষ্টিও বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছিল। ভিলেজ রকস্টার্সের কেন্দ্রে আছে কিশোরী ধুনু আর তার গানের দল গড়ার গল্প। রীমা ছয়গাঁও এলাকার গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিজেই ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেন।

শুধু সেরা ছবিই নয়, ভিলেজ রকস্টার্সের শব্দগ্রহণের জন্য রীমার কলেজে পড়া বোন, বছর কুড়ির মল্লিকা দাস সেরা শব্দগ্রহণে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। আর সেরা শিশু শিল্পী হয়েছিল দগাঁও-কলারদিয়া গ্রামের মেয়ে ভনিতা দাস। ভনিতারা কেউ সিনেমার অ-আ-ক-খ বোঝে না। তারা শুধু বুঝত রীমা বাইদেউ (দিদি) যা বলছেন, সেটা করে দিলেই হল। কোনও সেট, শুটিং ফ্লোরের বালাই নেই।

ছবির একটি দৃশ্যে ছোট্ট ধুনু আর তার প্রিয় বন্ধু।

সবই খোলা আকাশের নীচে। ভনিতার মধ্যে রীমা খুঁজে পেতেন নিজের শৈশবের দস্যিপনা। এমন ভাবেই তৈরি হওয়া ছবি দেশ-বিদেশে অন্তত ৫০টি চলচিত্র উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়ে, জাতীয় পুরস্কারের পথ পেরিয়ে  এ বার দৌড়বে অস্কারের লক্ষ্যে। আজ পর্যন্ত কোনও ভারতীয় ছবি যা ছুঁতে পারেনি।