তেলে আগুন, ঘুম কেড়েছে টাকাও, শনিবার বৈঠকে বসতে পারেন মোদী


দিন কয়েক আগেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির আশ্বাস ছিল তেল ও টাকা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। বুধবার বিকেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে ওই দুই বিষয়ে মুখে কুলুপ ছিল দুই মন্ত্রীরও। অথচ ক্ষমতার অলিন্দে খবর, অর্থনীতির হাল হকিকৎ বুঝতে শনিবারেই বৈঠকে বসতে পারেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! সেখানে থাকতে পারেন জেটলি, নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমার, প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়, অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়াও।

অনেকেরই প্রশ্ন, তেলের আগুন দাম আর তলানিতে ঠেকা টাকা নিয়ে যদি কেন্দ্রের উদ্বেগ না-ই থাকে, তা হলে খোদ মোদীকে বৈঠকে বসতে হচ্ছে কেন? অন্তত সরকারি সূত্রের খবর তো তেমনই।

আশঙ্কা যে দানা বাঁধছে, তা অবশ্য স্পষ্ট এ দিন সকালে আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গের বাজার ও আমজনতাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টাতেই। তাঁর দাবি, ডলারে টাকার দাম যাতে উদ্বেগজনক হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক উদ্যোগী হবে। বাজার সূত্রের খবর, এ দিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করেওছে। কিছুটা তার দৌলতেই দিনে এক সময় ৭২.৯১ টাকায় উঠে যাওয়া ডলার শেষে নেমে এসেছে ৭২.১৮ টাকায়। যা আগের দিনের তুলনায় ৫১ পয়সা কম।

তবে কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের যৌথ ভাবে কোমর বাঁধাও এ দিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল কলকাতায়। বেঙ্গল চেম্বারের বার্ষিক সভার পরে অর্থনীতিবিদ তথা অর্থ মন্ত্রকের প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক ভি দেশাই বলেন, টাকা নিয়ে কেন্দ্র ও আরবিআইয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ছে। অনেকের মতে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ব্যারেলে ৮০ ডলার ছুঁইছুঁই অবস্থায় তা চিন্তার।

একই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর প্রশ্ন, অশোধিত তেল নীচে থাকার সময় কেন তেল মজুতের ব্যবস্থা করা হয়নি? দাম বাড়ার ধাক্কা সামলাতে তহবিল গড়ারও দাবি জানান তিনি।