মধ্যপ্রদেশে ৪ বছরের মেয়ের ধর্ষণকারী কন্ট্রাক্টে থাকা শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড

মধ্যপ্রদেশের সতনায় ৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় আদালত মৃত্যুদণ্ড দিল এক কন্ট্রাক্টে থাকা শিক্ষককে। মহেন্দ্র সিংহ গোন্ড নামে ২৩ বছর বয়সি শিক্ষককে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবি (১২ বছরের কম মেয়েকে ধর্ষণ) ও শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা সংক্রান্ত পকসো আইনের ৫ ও ৬ ধারায় দোষী ঘোষণা করে চরম সাজা দেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেসনস জজ দীনেশ কুমার শর্মা। গত ১ জুলাই ধর্ষণ করা হয় মেয়েটিকে। এখনও তার অবস্থা সঙ্কটজনক। তার চিকিত্সা চলছে দিল্লির এক হাসপাতালে।

ডিস্ট্রিক্ট প্রসিকিউশন অফিসার রামপাল সিংহ জানিয়েছেন, নির্যাতিতা ও তার অভিভাবকরা বর্তমানে দিল্লিতে থাকায় সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করার পর গোন্ডকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। পাশাপাশি মেয়েটিকে অপহরণের জন্যও সাত বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজা হয়েছে তার।

২১ জন বাদী পক্ষের সাক্ষীকে পাল্টা জেরা করা হয়।

রামপাল সিংহ জানান, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে চেনাজানা ছিল গোন্ডের। ১ জুলাই রাতে সে নেশায় বেসামাল হয়ে মেয়েটির বাবার সঙ্গে দেখা করতে তাদের গ্রামের একটি জায়গায় যায়। মেয়েটি বাড়ির বাইরে খাটিয়ায় বাবার পাশে শুয়েছিল। মেয়েটির বাবার সঙ্গে কথা বলে গোন্ড ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার সেখানে যায়। মেয়েটির বাবা প্রাকৃতিক কাজ সারতে গিয়েছিলেন। মেয়েটিকে একলা পেয়ে গোন্ড সেখান থেকে তাকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, তারপর ঝোপে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বাবা ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে হইচই শুরু করেন। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ পরে গোন্ডকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশই দেশে প্রথম ১২-র কমবয়সি মেয়ের ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড চালু করতে আইন কার্যকর করে। কেন্দ্রও ১২-র নীচে নাবালিকা ধর্ষণে সাজা হিসাবে ফাঁসির সংস্থান রাখতে গত ২১ এপ্রিল ভারতীয় দণ্ডবিধি সংশোধন করে।