বাংলায় ২০টি ব্রিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা, রিপোর্ট পেয়েই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী


মাঝেরহাটের ব্রিজ ভাঙার পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বেরিয়ে এল রাজ্যের অন্তত ২০টি ব্রিজের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণ থেকে তৈরি নানা ইস্যুতে গলদ রয়েছে। যার ফলে তা থেকে যেকোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের যে রিপোর্ট হাতে এসেছে তাতে একথাই উঠে এসেছে।

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সাঁতরাগাছি ব্রিজ, উল্টোডাঙ্গা ব্রিজ, বেলগাছিয়া ব্রিজগুলি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সারা রাজ্যে এমন অন্তত ২০টি ব্রিজ রয়েছে। যেগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছে সরকার। ঢাকুরিয়া ব্রিজ, চিংড়িহাটা ব্রিজ, শিয়ালদহ ব্রিজ রয়েছে তাতে। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা রয়েছে। মেরামতির সমস্যা রয়েছে। কোনও কোনও ব্রিজের মেরামতির সুযোগ সরকার পাচ্ছে না। শিয়ালদহ ব্রিজে যেমন নিচে বাজার বসে গিয়েছে।

চেষ্টা করেও বিক্রেতাদের সরানো যাচ্ছে না। সরকার তাদের সাময়িক পুনর্বাসন দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করবে। বহু ব্রিজে নানা ধরনের ত্রুটি রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট হাতে এলেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

মাঝেরহাট ব্রিজ কাণ্ডে যারা দোষী তাদের সরকার কড়া শাস্তি দেবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে এদিন যেকথা মুখ্যমন্ত্রী বললেন তাতে রাজ্যের বিভিন্ন ব্রিজগুলির উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে যে প্রাণ হাতে নিয়ে যেতে হবে তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনা কাণ্ডে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিজ ভাঙা কাণ্ডের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে ও সরকারকে সেই কমিটি রিপোর্ট দেবে। তার আগে রাজ্য কোনও মন্তব্য করবে না বলে পরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিজ পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দফতরের আলাদা আলাদা সেল তৈরি হবে। তার আগে যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে পূর্ত দফতর, নগরোন্নয়ন, পিএইচই, পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এছাড়া পূর্ত, সেচ ও কেএমডিএ আলাদা সেল তৈরি করে সেতু পর্যবেক্ষণ করবে।