বনধ না করেও আন্দোলন করা যায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী


কলকাতা: পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়া এবং টাকা দুর্বল হওয়ার  জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অব্যবস্থাকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সোমবার নবান্ন থেকে  সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েদেন বনধই প্রতিবাদের প্রথম বা শেষ পথ নয়। কংগ্রেস সহ  21 টি দলের ডাকা বনধে তেমন প্রভাব কলকাতা সহ বাংলায় সেভাবে পড়েনি। সেই 2016 সালের নোটবন্দি এবং তার পরের বছর জিএসটির মতো সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন আর্থিক নীতির সমালোচনায় সরব হয়েছেন মমতা। এদিন আরও একবার মোদী সরকারকে নিশানা করে তিনি বললেন বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সরকারের আর্থিক অব্যবস্থার জন্য।সাংবাদিকদের মমতা বলেন, 'সরকারের আর্থিক অব্যবস্থার জন্যই পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে টাকার দাম পড়ছে। সাধারণ মানুষের জীবনের কোনও মূল্যই নেই। দাম বাড়তে বাড়তে শেষমেশ কোথায় গিয়ে থামবে তা বোঝা যাচ্ছে না।'

বনধ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বনধের কারণগুলিকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু বনধকে নয়। বাম আমলে বনধের জন্য রাজ্যের আশি লক্ষ কর্ম দিবস নষ্ট হয়েছে। তাই আর বনধ নয়। আমি মনে করি বনধ আন্দোলনের প্রথম এবং শেষ কথা  নয়।

অন্য একটি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান গত শুক্রবার ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধির রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল তাঁকে ফোন করে বনধ সমর্থন করার অনুরোধ জানান। কিন্তু মমতা তাঁকে বলেন, প্রথমত   কংগ্রেস কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ধর্মঘট ডেকেছে। তাছাড়া তৃণমূল নীতিগত ভাবে বনধের পক্ষে নয়। তবে বিরোধী ঐক্য যাতে অটুট থাকে তার জন্য দিল্লির রামলীলা ময়দানের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। অন্যদিকে মমতা এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন পেট্রল ও ডিজেল থেকে রাজ্য যে ভ্যাট নেয় তা প্রত্যাহার করা হবে না। কারণ তাঁর মনে হয় দাম যেভাবে প্রতিদিন বাড়ছে তাতে ভ্যাট প্রত্যাহার করে সুবিধা হবে না।