আবর্জনা ফেলতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী!

বাড়ির কাছে নোংরা ফেলতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হল এক ১৬ বছর বয়সী কিশোরী। অভিযোগ, গুরুগ্রামের চান্দপভুধেরা গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে তাঁকে ধর্ষণ করেন এক ব্যক্তি। পরে তাঁকে গ্রামের মধ্যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যান অভিযুক্ত। বুধবার রাতেই এসজিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরীকে। হাসপাতালের চিকিত্‍সক জানান, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার পরই পস্কো আইনের সেকশন ৮ নম্বর ধারায় মামলা রজ্জু করা হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। তাঁদের পরিবারে মোট ১১জন সদস্য। বুধবার সকালে কাজের জন্য বাবা-মা ও ভাইয়েরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বিকেল ৫টা নাগাদ কাজ থেকে বাড়ি ফিরে এলে মেয়ের খোঁজ পাননি মা। পরে জানা যায়, দুপুরে নোংরা ফেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই কিশোরী। প্রতিবেশীদের বাড়ি গিয়েছে, এই ভেবে মেয়ের খোঁজ করেননি বাবা-মা। কিন্তু বিকেল হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফিরলে গ্রামের মধ্যে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও মেলেনি তাঁকে। পরে গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের এক প্রান্তে ওই কিশোরী বসে রয়েছে। কিশোরীর মা জানান, 'সেখানে গিয়ে দেখি মেয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বসে রয়েছে। কোনও কথাই সে বলতে পারছে না। ভাবলেশহীনমুখে কাতর যন্ত্রণা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে। গ্রামের সরপঞ্চকে জানানো হয় ও তাঁকে ভুধেরার এসজিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের খবর দেওয়া হলে রাত ৯টা নাগাদ হাতপাতালে পৌঁছায় পুলিশ। সেখানেই মেয়ের জবানবন্দি নেয়।'

পুলিশের মুখপাত্র সুভাষ বোকান জানিয়েছেন, কিশোরীটি তাঁর জবানে জানিয়েছে, আবর্জনা ফেলতে গিয়ে পাশের একটি মাঠের ঝোঁপের ভিতরে মুত্রত্যাগ করতে যায়। সেখানেই কেউ পিছন থেকে তাঁকে ধরে ফেলে মুখের মধ্যে কাপড় চাপা দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর অজ্ঞান হয়ে যায় সে। যখন তাঁর জ্ঞান ফেরে, তখন তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। গোপনাঙ্গে যন্ত্রণা হওয়ায় কিশোরী বুঝতে পারে, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সে অভিযুক্তকে চোখে দেখেনি।