কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন! এই শতকের বড় অগ্নিকাণ্ডগুলি একনজরে


শুধু বাগরি মার্কেটের আগুন নয়। এর আগে আগুন লেগেছিল কাছেরই নন্দরাম মার্কেটে। আগুন লেগেছিল হাতিবাগান বাজারে। এখনও পর্যন্ত এই শতকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ডে। সেই সময় তৎকালীন বাম সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগরি মার্কেটে আগুন লাগা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, আগুন তো লাগতেই পারে।

কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন, একনজরে
তপসিয়ায় একাধিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল ২০০৬-এর ২২ নভেম্বরের ঘটনা। আগুনে চামড়ার কারখানা পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল।
২০০৮ সালের ১২ জানুয়ারি বড়বাজারের ১৩ তলা নন্দরাম মার্কেটে আগুন লেগেছিল। ৪২ টি দমকলের ইঞ্জিনের আগুন নেভাতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। সেখানে থাকা প্রায় ৪ হাজার দোকান ভস্মীভূত হয়েছিল। কয়েকশো কোটি টাকার জিনিস পুড়ে গেলেও আগুনে মৃত্যুর খবর ছিল না।

কলকাতার অন্যতম বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনাটি হল পার্কস্ট্রিটের স্টিফেন কোর্টের। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে লাগা আগুনে প্রায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৪০ টি দমকলকে আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়েছিল।
বর্তমান তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব থেকে বড় অগ্নিকাণ্ড হল ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড। ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর আগুন লেগেছিল আমরি হাসপাতালে। সেই আগুনে ৯০ জনের ওপর রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।

২০১২-র ২২ মার্চ হাতিবাগান বাজারে বিধ্বংসী আগুন লাগে। আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ৩২ টি ইঞ্জিন।

২০১৩ সালে কলকাতার অন্যতম বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহের সূর্য সেন স্ট্রিটের বাজারে। ২০১৩-র ২৭ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এঁদের বেশিরভাগই ছিলেন সেখানকার শ্রমিক।
২০১৬-র ৬ অক্টোবর তপসিয়ার ক্রিস্টোফার রোডে গুদামে লাগা আগুনে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের।

২০১৭-র ২৭ ফেব্রুয়ারি বড়বাজারের আমড়াতলার গুদামে লাগা আগুন বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে জ্বলেছিল। আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়েছিল দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিনকে।

২০১৭-র ৭ নভেম্বর আর্মেনিয়ান ঘাটে পোর্ট ট্রাস্টের গুদাম ঘরে আগুন লাগে। ২০ টি ইঞ্জিন বেশ কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।
২০১৭-র ১৯ অক্টোবর জীবন সুধা বিল্ডিংয়ের ১৯ তলায় লাগা আগুন অন্যতম বড় ঘটনা।
২০১৮-র ১৫ মার্চ সেই আর্মেনিয়ান ঘাট এলাকায় আগুন লেগেছিল। আগুনে বস্তিবাসীদের ঘর পুড়ে যায়। দমকলের ২১ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিল।

২০১৮-র ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে বাগরি মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন।