চাকরির দুর্দশা! রেলের গ্যাংম্যান পদে আবেদন কোটি কোটি ইঞ্জিনিয়ার, স্নাতকোত্তর পাশ কৃতীদের


রেলের 'লেভেল ১' পর্যায়ে ৬২ হাজার ৯০৭ টি শূন্যপদে ১.৯ কোটি চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছে। আগে এই পর্যায়কে বলা হতো গ্রুপ ডি। পরে নাম বদলেছে। সেই পদে দেখা যাচ্ছে স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাশ ও ইঞ্জিনিয়াররা আবেদন করেছেন।

মোট পদ ও আবেদনকারীর সংখ্যা ধরলে প্রতি পদের জন্য প্রার্থী সংখ্যা ৩০২ জন। রেলের সবচেয়ে নিচের দিকে পদের একটি এটি। তবে চাকরির বাজারের যা দশা তাতে গ্যাংম্যান, গেটম্যান, পয়েন্টসম্যান, হেল্পার (ইলেক্ট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ার) পদে কাজের হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে।

এই পদগুলির জন্য দশম শ্রেণি পাশ করলেই চলে। অথবা ভোকেশনাল ট্রেনিং বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের শংসাপত্র থাকলেই চলে। এছাড়া ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিস সার্টিফিকেট থাকলেও আবেদন করা যায়।

এটাই প্রথম নয়, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড জানিয়েছে, ৩১ অগাস্ট ১.২৭ লক্ষ পদের জন্য ২.৩৫ কোটি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। তাদের সিংহভাগ 'ওভার-কোয়ালিফায়েড' ছিলেন। অর্থাৎ নির্ধারিত যোগ্যতার চেয়ে উপরে ছিলেন।

আর এখানেই কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে। ২০১৪ সালে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে। বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের দাবি করা হয়। তবে কতটা চাকরির পদ বছরে সৃষ্টি হয়েছে তা খোলসা করা হয়নি। যার ফলে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তোপের মুখে কেন্দ্রকে পড়তে হয়েছে।

বেসরকারি ও কর্পোরেট সেক্টরের অবস্থাও ভালো নয়। কয়েকবছর ধরে সেখানে নানা জায়গায় ছাঁটাই হয়েছে। তার উপরে যত দিন যাচ্ছে সরকারি ক্ষেত্রে পদের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। এই অবস্থায় এত বিপুল পরিমাণ যুব সম্প্রদায়ের কাজের সংস্থান করাটা অবশ্যই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে কঠিন পরীক্ষার বিষয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

রিপোর্ট বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৪৫ লক্ষ মানুষ পে-রোলে চাকরি পেয়েছেন। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পেয়েছেন ৫৫ লক্ষ মানুষ। জানা গিয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি পদ মিলিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ হাজার মানুষ চাকরি পেয়েছেন।