টাকার দাম পড়লে কী হয়! ₹৭০ হাজার কোটি বাড়তি ধার মেটাতে আপনি তৈরি তো?


চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১১ শতাংশের বেশি ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম পড়েছে৷ এর ফলে বিদেশি ঋণ চোকাতে অবস্থা শোচনীয় হবে সরকারের৷ সেই বাড়তি বোঝা কিন্ত‌ু আপনার আমার পকেট থেকেই যাবে৷

জোড়া ফলা৷ একদিকে তেলের দাম রোজ বাড়ছে৷ যার প্রত্যক্ষ প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে মানুষ৷ সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টাকার দামের পতন৷

টাকার দামের পতন শব্ধবন্ধটি যতই মনে হোক, অর্থনীতির প্যাঁজপয়জার, কিন্ত‌ু এই পতনেরও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে আম-আদমির পকেটে৷ চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১১ শতাংশের বেশি ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম পড়েছে৷ এর ফলে বিদেশি ঋণ চোকাতে অবস্থা শোচনীয় হবে সরকারের৷ সেই বাড়তি বোঝা কিন্ত‌ু আপনার আমার পকেট থেকেই যাবে৷

টাকার দামে পতনের জেরে বিদেশি ঋণ মেটাতে আগামী কয়েক মাসে ভারতকে বাড়তি ৬৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গুনতে হবে৷ বুঝতেই পারছেন, ওই বাড়তি টাকাটির চাপ যুঝবে সাধারণ মানুষই৷

গত বৃহস্পতিবার টাকার দাম রেকর্ড হারে পতন হয়ে ডলারের দাম হয়ে যায় ৭২ টাকা৷ এ বছরের বাকি সময়টিতে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম যদি গড়ে ৭৩ টাকাও থাকে এবং অশোধিত তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৭৬ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল হয়, তা হলে সার্বিক ভাবে ভারতে তেলের দাম ৪৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি হবে৷ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন৷

২০১৭ সালে ভারতের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২১৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সেই টাকার ৫০ শতাংশ হয় ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে মেটাতে হত, না হলে তা আবার পরের বছর ক্যারি ফরোয়ার্ড হবে৷ ২০১৭ সালে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ৬৫.১ হিসেবেই ঋণ নেওয়া হয়েছিল৷ তাতে ঋণ চোকাতে হত ৭.১ লক্ষ কোটি টাকা৷

এ বছর টাকার দামের এই বিপুল পতনের জেরে কম করে ওই ঋণ বেড়ে হয়েছে ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা৷ অর্থাত্‍‌ বাড়তি প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি৷