তেলেঙ্গানা Honour Killing: তদন্তে উঠে এল ₹১ কোটির সুপারি ও ISI-তথ্য!

প্রণয় ও অমৃতা

ভিনজাতে বিয়ের 'অপরাধে' অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনেই পিটিয়ে খুন করা হয় ২৩ বছরের ইঞ্জিনিয়ারকে। তেলাঙ্গানার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। নালগোন্ডা জেলার এই ঘটনায় হত্যাকারী-সহ সাত জনকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

এনডিটিভি-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রণয় পেরুমাল্লাকে খুনের জন্য এনডিটিভি-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রণয় পেরুমাল্লাকে খুনের জন্য ₹১ কোটি দেওয়া হয়েছিল বিহারের এই গ্য়াংকে। তদন্তে এমনই জানতে পেরেছে পুলিশ। ₹১ কোটির মধ্যে ₹১৮ লাখ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত গ্যাংয়ের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর লিংক রয়েছে বলেও দাবি ওই প্রতিবেদনে। ধৃত সাত জনের মধ্যে মূল হত্যাকারী ২০০৩ সালে গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী হরেন পান্ডেয়ার হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। হাজতবাসের পর পরে ছাড়া পায়। 

নিম্নজাতের যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি অমৃতার পরিবার। অভিযোগ, এরপরই প্রণয়কে হত্যার ছক কষা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অমৃতার বাবা ও জেঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অমৃতার বাবা প্রোমোটার হওয়ায়, তার সঙ্গে তেলেঙ্গানার রাজনৈতিক দলগুলির যোগাযোগ রয়েছে। বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের অভিযোগ, খুনি বেছে দিতে 'বাবাকে সাহায্য করেছিলেন শাসকদল TRS-এর এক নেতা।' 

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া হাসপাতালের বাইরের এক CCTV ফুটেজে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চেক-আপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রণয়। হাসপাতালের গেট থেকে বেরোতেই হঠাৎ প্রণয়ের মাথায় আঘাত করা হয়। হাতে ভারী মুগুর জাতীয় কিছু নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এক দুষ্কৃতী। এরপর আরও কয়েকবার আঘাতের পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে অজ্ঞান হয়ে যান অমৃতা। এই ফুটেজের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।