ইঞ্জিনীরিং কলেজ " ব়্যাগিং " 12 জনের নামে এফআইআর দায়ের।


বর্ধমান: প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের এমবিসি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির প্রথম বর্ষের ৪৩ জন ছাত্রকে হস্টেলে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বলে অধ্যক্ষর কাছে নালিশ জানানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ মেলায় অধ্যক্ষ ১২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআরও দায়ের করেন।

মারধর, ভয় দেখানো, ব়্যাগিং নিরোধক আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের মধ্যে ১১জন বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে। সিজেএম রতনকুমার গুপ্তা এক হাজার টাকার বন্ডে তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। বাকি ছাত্র আত্মসমর্পণও করেনি, জামিনও নেয়নি।

বর্ধমানের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শিক্ষামহলে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে কলেজ সংলগ্ন ছাত্র হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের ঘটনাটি ঘটে। প্রথম বর্ষের ৪৩ জন পড়ুয়া অধ্যক্ষ অসিতকুমার মান্নাকে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, সিনিয়ররা হস্টেলের রুমে এসে নানাভাবে তাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাঁদের কথা মতো কাজ না করায় মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে বলে তাঁরা অধ্যক্ষকে জানান। ব়্যাগিংয়ের কারণে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই হস্টেল ছাড়ার চিন্তাভাবনা শুরুও করেন। ৩ অক্টোবর ঘটনার কথা জেনে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো তদন্ত করে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলায় অধ্যক্ষ ৫ অক্টোবর বর্ধমান থানায় ১২ জন সিনিয়র ছাত্রর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর নোটিস পাঠিয়ে অভিযুক্তদের ডেকে পাঠায় পুলিশ। নোটিস পেয়ে অভিযুক্ত ছাত্ররা তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরও হন। এদিন ১১ জন অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের আইনজীবী পুলক মুখোপাধ্যায় এদিন আদালতে জানান, নোটিস পেয়ে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজির হওয়ার কথা জানিয়ে জামিনের আর্জি জানান।  বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।