নিলামে উঠল স্টিফেন হকিং-এর গবেষণাপত্র, হুইল চেয়ার


পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় বিশেষ করে ব্ল্যাক হোল থিওরিতে তাঁর অবদান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কোনোদিন। জীবদ্দশায় তাঁর সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের ছাপিয়ে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব  নিয়েও প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু বিজ্ঞানের জগতে সেরা সম্মান জোটেনি কোনোদিন। সে নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে কত তর্ক বিতর্ক। মানুষটার নাম স্টিফেন হকিং। কিংবদন্তি এই পদার্থবিদের ব্যবহার করা কিছু সামগ্রী এবার নিলামে উঠতে চলেছে। তার মধ্যে রেয়েছে হকিং-এর সর্বক্ষণের সঙ্গী হুইল চেয়ারটি, সঙ্গে কিছু গবেষণাপত্রও। নিলামে উঠছে হকিং-এর লেখা 'সিম্পসন' (বেস্ট সেলার এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম-এর একটি পরিচ্ছেদ)-এর পাণ্ডুলিপিও।

ব্রহ্মাণ্ডের জন্মরহস্য নিয়ে স্টিফেন-এর গবেষণাপত্র রয়েছে নিলাম হওয়া সামগ্রীর তালিকায়। 'স্পেকট্রাম অব ওয়ার্মহোলস', কিমবা 'ফান্ডামেন্টাল ব্রেকডাউন অব ফিজিক্স ইন গ্র্যাভিটেশনাল কোলাপ্স'- সাড়া জাগানো এই সব গবেষণাপত্র নিলামে চড়বে। ৩১ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে নিলাম হবে হকিং-এর নানা সামগ্রী।

সব মিলিয়ে স্টিফেন হকিং-এর ২২ টি সামগ্রী রাখা হয়েছে নিলামের তালিকায়। ১৯৬৫ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি পিএইচডি গবেষণাপত্রের দাম ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন  ডলার থেকে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে থাকবে।

নিলাম আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, "নিজের হাতে লেখা স্টিফেনের গবেষণাপত্র শুধু যে বিজ্ঞানের জ্বলন্ত দলিল, তাই-ই নয়, এটা স্টিফেনের ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও বলে। কেমব্রিজে পিএইচডি শুরু করার পরপরই অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস রোগে আক্রান্ত হন স্টিফেন। সেই সময় কিছুদিন পড়াশোনা বন্ধও রাখতে হয় তাঁকে।"

নিলাম আয়োজক দলের সদস্য ভেনিং স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বললেন, "স্টিফেন একই সঙ্গে একজন কিংবদন্তী বিজ্ঞানী ছিলেন, আবার পাশাপাশি খুব ভাল বক্তাও ছিলেন। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে হকিং-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। রসবোধেও তাঁর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো মানুষ খুব কম ছিলেন।"