‘ধর্ষিতাকে ভর্তি নেওয়া যাবে না’, জানিয়ে দিল দেরাদুনের স্কুল কর্তৃপক্ষ


১৬ বছরের মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি নিতে অস্বিকার করল দেরাদুনের একটি স্কুল। মেয়েটির 'অপরাধ' গত আগস্ট মাসে
সে শহরতলির এক বোর্ডিং স্কুলে গণ ধর্ষিত হয়েছিল সে। দেরাদুনের স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, 'ধর্ষিতাকে ভর্তি নেওয়া যাবে না'।

গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই শহরের নানা সিবিএসই স্কুলে ওই ষোড়শীকে ভর্তি করার জন্য চেষ্টা করছেন তাঁর অভিভাবকেরা। অধিকাংশ স্কুলই ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছে। এদের মধ্যে একটি স্কুল ভর্তি না করার কারণ হিসেবে স্পষ্ট জানিয়েছে তারা ধর্ষিতাকে ভর্তি নিতে পারবে না।

ষোড়শীর আইনজীবী অরুণা নেগি চৌহান জানিয়েছেন শেষমেশ দেরাদুনের অন্য এক স্কুলে ভর্তি হয়েছে কিশোরী।

নিজের বোর্ডিং স্কুল চত্বরেই স্কুলের ৪ জন ছাত্র ১৪ আগস্ট ওই ছাত্রীকে গণ ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ১৬ সেপ্টেম্বর ওই চার ছাত্রকে হরিদ্বারের নাবালক সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগের পাঁচ কর্মী এবং ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক সাবালক ছাত্রকে দেরাদুনের শুধোয়ালা জেলে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার হওয়ার কারণে ছাত্রীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করা স্কুলের বিরুদ্ধে দেরাদুন পুলিশে মেইল করে অভিযোগ জানিয়েছেন অরুণা চৌহান। পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট জানিয়েছেন, "ছাত্রীটি পড়াশোনায় দুর্বল, সেহেতু অনেক স্কুল ভর্তি নিতে চায়নি। কিন্তু ধর্ষিতা হওয়ার কারণে যদি ভর্তি নিতে অস্বিকার করা হয়, তবে তার তদন্ত হবে।

ধর্ষণের ঘটনা যে স্কুলে ঘতেছে, ইতিমধ্যে সিবিএসই স্বীকৃত স্কুলের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ওই স্কুল্কে। যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সিবিএসই-র আঞ্চলিক আধিকারিক রনবীর সিং এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।