জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ‘চেষ্টা’, লাইটপোস্টে বেঁধে যুবককে গণপ্রহার


অভিযুক্তকে বাতিস্তম্ভে বেঁধে মারধর। সোমবার, দেগঙ্গায়।


কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাঝবয়সি এক মহিলা। অভিযোগ, সেই সময়ে ওই মহিলার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, মুখ চেপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। সোমবার দুপুরে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে একটি বাতিস্তম্ভে বেঁধে শুরু হয় বেদম মার। খবর পেয়ে অভিযুক্তের স্ত্রী বাঁচাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। লতিফ মণ্ডল নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, একটি নির্জন জায়গায় ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ওই যুবক আচমকাই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর মুখ চেপে ধরে টানতে টানতে একটি ঝোপে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাঁকে মাটিতে ফেলে গলা টিপে ধরে লতিফ ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

ওই মহিলার আর্ত চিৎকার শুনে মাঠে ধান কাটতে থাকা লোকজনেরা ছুটে আসেন। তাঁরা তাড়া করে ধরে ফেলেন বছর তিরিশের ওই যুবককে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লতিফের বিরুদ্ধে বছরখানেক আগেও এক বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সে জেলও খেটেছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। তার পরে ফের এ দিনের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়েরা লতিফকে একটি বাতিস্তম্ভে বেঁধে শুরু করেন গণধোলাই। মাথা ফেটে যায় লতিফের।

পুলিশ জানিয়েছে, সিংহেরআটির বাসিন্দা লতিফের স্ত্রী ঘটনার খবর পেয়ে আসেন। তাঁর দাবি, লতিফ নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযোগ, এ কথা শুনে স্থানীয়েরা লতিফের স্ত্রীকেও মারধর করে। বিশা কাহার নামে এক মহিলার অভিযোগ, ''এলাকার অনেক মেয়ে কাজে যায়। আগেও এমন চেষ্টা করেছে লতিফ। ওর কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।''
পুলিশ জানিয়েছে, লতিফের চিকিৎসা চলছে। অভিযোগের তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।