১২ ঘণ্টার লড়াই শেষ, ২০০ ফুট গভীর কুয়োতেই মৃত শিশু

আহমেদাবাদ: সোমবার রাত থেকে লড়াই চলছিল৷ যদি কোনওভাবে বাঁচানো যায় শিশুটিকে৷ তবে উদ্ধারকারীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হল দেড় বছরের শিশুর৷ সোমবার সন্ধ্যে বেলায় ওই শিশু ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়৷ গুজরাতের সাবারকান্থা এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা৷

তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্ধার কাজ৷ আলো জ্বেলে, অক্সিজেনের পাইপ ২০০ ফুট নীচে পাঠিয়ে কোনও রকমে শিশুটিকে বাঁচাবার চেষ্টা চলছিল৷ কৃষকের পরিবারের সন্তান ওই শিশুটি খেলতে খেলতে গভীর কুয়োর মধ্যে পড়ে যায়৷ কুয়োর ৮০ ফুট উচ্চতায় আটকে ছিল সে৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে৷ উদ্ধার কাজে হাত লাগায় আহমেদাবাদ দমকল দফতরও৷

তবে সবার চেষ্টা ব্যর্থ করে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ ১২ ঘন্টা ধরে উদ্ধার কাজ চলে৷ তবে তা কাজে আসেনি৷ শিশুটির পাঁজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল৷ সেটিই তাঁর মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ চলতি বছরে একই রকম ঘটনা ঘটে বিহারে৷ মুঙ্গের জেলায় একটি ১৬৫ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় এক শিশু কন্যা৷ ওই শিশুকন্যা সানাকে ৩১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা যায়৷

ঘটনাটি ঘটে ৩১ জুলাই, দুপুরবেলায়। এই দুর্ঘটনার যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজ চালায় রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। মোকাবিলা বাহিনীর তরফ থেকে সঞ্জীব কুমার জানান, সানার নিরাপত্তার জন্য অক্সিজেন সহ সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্লুকোজের জল দেওয়া হচ্ছে তাকে৷ ওই কুয়োর চারপাশে রডের বেষ্টনী লাগানো হয় যাতে শিশুটি আরও গভীরে না পড়ে যায়।