কৈলাশ ছেড়ে আজই বাপের বাড়িতে পা রাখবেন উমা


প্রস্তুতি শেষ৷ আজ মহাষষ্ঠী৷ আজ কৈলাশ ছেড়ে বাপের বাড়ি রা রাখবেন উমা৷ আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালির দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ৷

সেই ত্রেতাতে এই দিনেই মাকে জাগিয়েছিলেন রামচন্দ্র৷ পুরাণমতে এইসময় দেবদেবীরা ঘুমিয়ে থাকেন৷ সূর্যদেবও দক্ষিণায়নে৷ এমন সময়ে রাবণবধের জন্য দেবতাদের জাগিয়ে তোলা জরুরী হয়ে পড়ল রামচন্দ্রের৷ তিনি তাই অকালবোধন করলেন৷ আর এই ষষ্ঠীর দিনেই তিনি পুজোয় দেবী দুর্গাকে জাগিয়ে তোলেন৷ তাই এইদিনই দুর্গাপুজোর আরম্ভ৷ কল্পারম্ভের মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর৷ তারপর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে মাকে বরণ করে নেওয়া৷ বোধনেই মায়ের মুখ উন্মোচন করা হয়৷

তবে বাঙালির কাছে দেবী তো ঘরের উমা৷ আর তাই এদিন হল উমার বাপের বাড়ি পা রাখার দিন৷ কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী-চার সন্তানকে নিয়ে উমা বাপের বাড়ি এলে সমস্ত মহিলারা জড়ো হন তাঁকে সাদরে বরণ করার জন্য৷ আর তাই এদিন মায়ের ঘটস্থাপনায় দেখা যায় মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি৷ দেবীপক্ষের এই ষষ্ঠদিন নবরাত্রি পালনেরও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন৷ এদিন দেবী কাত্যায়ণীর পুজো করা হয় দেশের বিভিন্ন অংশে৷

বাঙালির কাছে এদিন মানেই ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরার দিন৷ সামনের কটাদিন তাকে নিয়ে আনন্দে কাটানো৷ এরই নাম তো উৎসব৷ কখন যেন পুরাণ এসে মিশে যায় লৌকিকতায়৷ যুগের হিসেব মিশে যায় ঘর গেরস্থালিতে৷ আর সাংস্কৃতিক পরিসর জুড়ে পড়ে সম্প্রীতির ছায়া৷ বাঙালি মেতে ওঠে তার প্রাণের উৎসবে৷